
খেলাধুলা ডেস্ক | মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 90 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
রোববার জানা গিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে মনোনীত বিসিবির দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকে পদত্যাগ করতে বলা হবে। গতকাল সকাল সকালই এনএসসি সচিব মো. আমিনুল ইসলামের ফোন পান দু’জনই। দেশের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেট সংগঠককে পদত্যাগ করতে বলা হলে জালাল ইউনুস সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেন। তবে ববিকে রাজি করাতে পারেননি। তিনি এনএসসি সচিবকে নিয়ম মেনে তাঁকে বাদ দিতে বলেছেন।
এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা– জানতে চেয়ে এনএসসি সচিবকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদের কাছে জানাতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জালাল-ববিকে বাদ দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিসিবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারকাজ শুরু হলো।
এনএসসি কোটায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ ও সাবেক কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বিসিবি পরিচালক হিসেবে মনোনীত হবেন জালাল-ববির জায়গায়। শোনা যাচ্ছে, কাল এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে এনএসসি। ফারুক-ফাহিম পরিচালক মনোনীত হলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আহ্বানে বোর্ড সভা ডাকা হতে পারে। পাপন পদত্যাগপত্র পাঠালে সভায় গৃহীত হবে এবং ফারুককে সভাপতি নির্বাচিত করা হবে।
বিসিবির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ থেকে কেবল ফাহিম সিনহা ছাড়া বাকিদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হতে পারে। ফাহিম সিনহার পরিবার বিএনপি-সংশ্লিষ্ট। তাঁর চাচা মিনাজুর রহমান সিনহা ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। জাতীয় দলের সাবেক এক অধিনায়ক ও বিসিবির বর্তমান পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের সবাইকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ফাহিম ছাড়া। যারা আসবেন, তারা ক্রিকেটের ভালো করবেন। তাদের জন্য আগে থেকে শুভ কামনা।’
জালালের পদত্যাগে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলো। এই বিভাগের অধীনে জাতীয় এবং ‘এ’ দলের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দুটি দলই এ মুহূর্তে পাকিস্তান সফরে আছে। ফলে জাতীয় দল-সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তবে বিসিবি চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন এগিয়ে আসতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না, কী করা উচিত। এ রকম সিদ্ধান্তহীনতায় কখনও ভুগতে হয়নি। গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ কোনো কিছু জানতে চাইলে সিদ্ধান্ত দিই। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাইলে দেব।’
সংস্কারে হাতে দেওয়ার দিনেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা দেখান উপদেষ্টাকে। কর্মকর্তাদের অনেককে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। কেন এসেছিলেন– জানতে চাওয়া হলে তামিম বলেন, ‘বোর্ডে যারাই থাকেন না কেন, ক্রিকেট আমাদের সবার। সুযোগ-সুবিধাগুলো দেখাতে আমি এসেছিলাম। অনেকে হয়তো অনেক কথা বলছে, বাস্তবতা হলো আমি শুধু তাঁকে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের অবকাঠামো দেখাতে চেয়েছি।’
Posted ৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter