
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 105 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বাংলাদেশি বংশোদভূত আমেরিকান ও পাঠাও’র সিইও ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে তার সাবেক সহকারি টাইরেস হাসপিল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০২০ সালে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে নিজ এপার্টমেন্টে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাও’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন হন। গত সোমবার ২৪ জুন ম্যানহাটন সুপ্রীম কোর্ট এ মামলায় তার সাবেক সহকারীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে। এতে খুনি হাসপিলের ২৫ বছর বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। ফাহিমের বাবা সালেহ আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় আসামী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আনুষ্টানিকভাবে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাবেন আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা হবার পর। সালেহ আহমদ এর জন্ম স্থান চট্রগ্রাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা সালেহ আহমদ পেশা ও জীবিকার তাগিদে আমেরিকায় বসবাস শুরু করেন। আপস্টেট নিউইয়র্কের ফিসকিলস্থ আইবিএম—এ একজন বড় কর্মকর্তা হিসেবে দীঘদিন কাজ করেছেন। এখন আপস্টেটেই অবসর জীবনযাপন করছেন।
আদালতে খুনি টাইরেস হাসপিল জানান, প্রেমিকাকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা উপহার কিনতে তিনি ফাহিমের অর্থ চুরি করেছিলেন। পরে এ বিষয়টি আড়াল করতেই তিনি ফাহিমকে হত্যা করেন। তবে তার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন বিচারক।
মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল ফাহিমের চার লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেন। এরপর বিষয়টি আড়াল করতে হত্যার পর ফাহিমকে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে খণ্ড—বিখণ্ড করেন। এ ঘটনায় হাসপিলকে ফাস্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম। এ ঘটনার তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। আইনজীবীরা বলছেন, হাসপিল ফাহিমকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। আদালতে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন হাসপিল। এ জন্য তার সাজা কমানোর দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা। যদিও আইনজীবীদের এ দাবি প্রত্যাখান করেছেন জুরিবোর্ড।
Posted ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam