নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 347 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ইমিগ্রেশন সমস্যা সমাধানে কংগ্রেসে কোন উদ্যোগ নেই। কাগজপত্রহীন ১কোটি ১০ লাখ ইমিগ্র্যান্টের ভাগ্য ঝুলে গেল। আ্ইনগতভাবে বসবাস ও নাগরিকত্ব পাবার জন্য আরিজোনা ও নর্থ ক্যারোলিনা থেকে নির্বাচিত সিনেটর যথাক্রমে ক্রিস্টিন সিনেমা ও থম টিলসের বাইপার্টিজান উদ্যোগও ভেস্তে গেছে। তাদের প্রস্তাবকে অর্ন্তভূক্ত না করে কংগ্রেস পাস করছে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের স্পেন্ডিং বিল। দক্ষিণ সীমান্তে প্রতিদিন ৯ হাজার থেকে ১৪ হাজার শরনার্থী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ভীর করছে বলে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। সীমান্তরক্ষীরা তা সামাল দিতে হিমশীম খাচ্ছে। এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে জারি করা অধ্যাদেশ টাইটেল ৪২ এর মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বুধবার ২১ ডিসেম্বর। এর আওতায় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারি ইমিগ্র্যান্টদের ৩০ মিনিটের মধ্যে সীমান্ত থেকে ডিপোর্ট করা যেত। এ টাইটেলের আওতায় রিফিউজিদের এসাইলাস সংক্রান্ত আবেদনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে মেক্সিকোতে বা নিজ দেশে অবস্থান করতে হতো। এই আইনটি তামাদে হলে একজন রিফিউজির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। যাতে আগত জন¯্রােতকে সামাল দেয়া সম্ভব নয়। গত ২০ ডিসেম্বর রিপাবলিক্যান দলের প্রতিনিধিদের শাাসিত ১৯টি স্টেটের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্টের চীফ জাস্টিস জন রবার্টস সাময়িকভাবে টাইটেল ৪২ বহাল রেখেছেন। অর্থাৎ তা টাইটেল ৪২ সাময়িকভাবে বহাল থাকছে। বাইডেন প্রশাসনও তা সাময়িকভাবে বহাল রাখার জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। এ আদেশের আওতায় গত ৩ বছরে ২৫ লাখ অবৈধ ইমিগ্র্যান্টকে সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠাতে সমর্থ হয়েছে সীমান্ত রক্ষীরা।
ইমিগ্রেশন ও ক্রস বর্ডার পলিসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর থেরেসা কার্ডিনাল সাংবাদিকদের বলেছেন, সহসাই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এ জন্য কোন সুইস নেই। প্রধান সমস্যা হচ্ছে গত ২ দশক কংগ্রেস ইমিগ্রেশন প্রশ্নে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এদিকে টেক্সাস গর্ভনর সীমান্তে অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড পাঠিয়েছে। ইমিগ্র্যান্ট প্রবেশের রুটগুলোতে কাঁটা তারের বেড়া বসাচ্ছে। স্থানীয় এল পাসো সিটির মেয়র ইমিগ্র্যান্ট স্রোতের কারনে শহরে জরুরী অবস্থা ঘোসণা করেছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ইমিগ্রেশন সমস্যা সমাধানের কথা বারবার উল্লেখ করেছিলেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, কংগ্রেসের কাছে তিনি এখন অসহায়। বিষয়টি নিয়ে তারা আর মাথা ঘামাচ্ছেন না।
এদিকে গত সোমবারও ইমিগ্রেশন নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সিটি মেয়র এরিক এডামস। তিনি বলেছেন, দেশের দক্ষিণ এলাকা থেকে প্রতিদিনই ইমিগ্র্যান্টরা নিউইয়র্কে আসছে। তিনি এ ধরনের জন¯্রােতের প্রবেশের আশংকা আরও করছেন। তিনি বলেছেন, এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়বে নিউইয়র্কার ও এনওয়াইপিডি অফিসারদের ওপর। তাদের সামাল দেয়া কঠিন হবে। তাদের বাসস্থান ও অন্যান্য বেনিফিটের জন্য পর্যাপ্ত ফেডারেল ও স্টেট সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না।
Posted ২:৫১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Monwarul Islam