
খেলা ডেস্ক | বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 56 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ঘড়িতে তখন ভোর ৪টা। এই কাকডাকা ভোরে ফেসবুকের পোস্ট কেউ পড়বে স্বপ্নেও ভাবিনি। আমাকে ভুল প্রমাণ করে শুভাকাঙ্ক্ষীরা শুভাশিস দিতে থাকেন। ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে সম্পাদক আলমগীর হোসেন ভাই হোয়াটসঅ্যাপে শুভ কামনা জানালে ভালোলাগা বেড়ে যায় অনেক গুণ। প্রিয়জনদের ভালোবাসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়ি। গন্তব্য টেক্সাসের ডালাস, টি২০ বিশ্বকাপ কাভার।
যুক্তরাষ্ট্রের এই শহর থেকেই নবম টি২০ বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে বাংলাদেশ সময় ২ জুন। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় উদ্বোধনী ম্যাচে। ক্রিকেটের প্রাচীনতম এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বৈশ্বিক প্রথম মোকাবিলাতেই রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে ২০ ওভারের খেলায় বিশাল স্কোর গড়ে এবং তাড়া করে। কানাডার ১৮৪ রানের জবাব ক্রিকেটবিশ্বকে ঘোর লাগা বিস্ময় উপহার দিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
১৮৪৪ সালে ক্রিকেটে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা দেশ দুটি এতো ভালো টি২০ ক্রিকেট খেলবে খোদ আইসিসি কর্মকর্তারাও ভাবতে পারেনি। বিশ্ব ক্রিকেটের বোদ্ধারাও না। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ম্যাচ দেখার পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হতে থাকে। ফেসবুকে লেখালেখিতে ফিরে আসে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ প্রসঙ্গ। সমর্থকরা হতাশা থেকে লিখতে থাকেন– স্বাগতিকদের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্তদের শেষ ম্যাচের জয় ছিল অঘটন।
প্রিয় দলকে নিয়ে এভাবে ভাবার কারণ– যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হার এবং ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারা। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে গায়ানায় আরেকটি ম্যাচ ছিল, স্বাভাবিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাপুয়া নিউগিনির মধ্যে। ওই ম্যাচেও ছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ভয় ধরিয়ে শেষ পর্যন্ত জিতেছিল দুইবারের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ীরা। এ থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়েছে টি২০ ক্রিকেটে ছোট-বড়তে পার্থক্য সামান্যই। এই অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপজুড়েই নিতে হতে পারে সমর্থকদের।
মাঠে উপস্থিত থেকে আমার বিশ্বকাপ কাভার করার আগে সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে। যদিও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হতে আরও দুই দিন বাকি। ৮ জুন সকালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। এই ম্যাচ ঘিরে শান্তদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বাংলাদেশ জিতে গেলে দেশে বিশ্বকাপ উন্মাদনার পারদ হুহু করে উঠবে। হেরে গেলে হতাশার বুদবুদ ছড়াবে ফেসবুকে। রেকর্ড এবং বর্তমান ছন্দ দেখে বলা যায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ভালো। কারণ বাংলাদেশের মতো লঙ্কানরাও ছন্দে নেই। তাদের প্রস্তুতি ম্যাচও ভালো হয়নি। বিশ্বকাপ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারলে বাংলাদেশ জিততে পারে বলে ডালাস প্রবাসীদের বিশ্বাস।
বিসিবি কর্মকর্তাদের মধ্যে বিশ্বাসটা একটু বেশি। যদিও ডালাসে খেলা দেখতে আসা বিসিবি পরিচালকরা প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। ৮ জুন পর্যন্ত ধৈর্য দেখাতে চান তারা। পরিচালক আকরাম খান তো ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দেশে টিভি টকশোতে। আর দুটো দিন তো ধৈর্য ধারণ করতেই পারেন। ধৈর্য থেকে ভালো কিছু হলে ধৈর্যই ভালো। যদিও অপেক্ষার সুতায় টান পড়েছে বাংলাদেশ দল যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর থেকেই। সাকিব আল হাসানরা খেলার বাইরে নানা কর্মকাণ্ড করে উল্টো সমর্থকদের বিরক্তি বাড়িয়েছেন। এ সবকিছু কর্পূরের মতো উড়ে যাবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো শুরু পেলে।
Posted ৫:০৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter