
খেলা ডেস্ক | সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 114 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
দক্ষিণ আফ্রিকানদের কাছে টি২০ ফরম্যাটটি একটু বেশিই প্রিয়। ‘বিগ হিটিং’ সামর্থ্যের কারণেই টি২০তে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবসময়ই ফেভারিট তারা। এর মধ্যে গত ছয় বছর একচ্ছত্র প্রাধান্য ছিল প্রোটিয়াদের। এ দু’দল মোট ১৭ বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে প্রোটিয়ারা ১২টি এবং শ্রীলঙ্কা ৫টি জিতেছে। তবে গত ৬ বছর সাতবার মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের মঞ্চে শ্রীলঙ্কা কি পারবে ৬ বছরের হারের বৃত্ত ভাঙতে! আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় নিউইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দু’দল। এই ম্যাচের দিকে নজর থাকবে বাংলাদেশ দলেরও। ৮ জুন এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করবেন সাকিব-শান্তরা। দু’দিন পর এই নাসাউ স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলবেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা দলের কেউই ক্রিকেট খেলেনি। তাই উভয় দলের জন্যই এটা নতুন অভিজ্ঞতা। নতুন পরিবেশে বৃত্ত ভাঙার প্রত্যাশাও করছে লঙ্কানরা। তবে ইদানীং আইসিসির মেগা ইভেন্ট এলেই যেন শ্রীলঙ্কা দলে ইনজুরির থাবা পড়ে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটছে না।
যদিও শেষ পর্যন্ত বেশ কষ্ট করেই যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে সেরা স্কোয়াডই উঠেছে। তবে সেরা ছন্দ নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। দলের সেরা তারকা এবং অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা চোটের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। গোড়ালির চোটের কারণে আইপিএল খেলতে পারেননি এ লেগস্পিনার। প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে ফিরেই তিনি সেরা ছন্দ পেয়ে যাবেন, এতটা প্রত্যাশা করা সম্ভবত ঠিক হবে না। দলের বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা পেসার মাতিশা পাথিরানাও আইপিএল খেলতে গিয়ে চোটে পড়েছিলেন। তাঁকেও সেরা ছন্দে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। একে তো চোটের হানা, তার ওপর ফ্লোরিডায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিউইয়র্কে ফেরার পথে বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে লঙ্কানদের। বিষয়টি নিয়ে তারা বেশ বিরক্ত। এমনকি আইসিসির কাছে নালিশও করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাও এই ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে চোট সমস্যা নেই। এবারের প্রোটিয়া দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। বিস্ফোরক সব ব্যাটারে পরিপূর্ণ তাদের স্কোয়াড। হেনরিক ক্লাসেন, ত্রিস্টান স্টাবস, কুইন্টন ডি কক, ডেভিড মিলার, এইডেন মার্করামের মতো একঝাঁক মারকুটে ব্যাটার রয়েছেন, তাদের যে কোনো একজন একা হাতে ম্যাচ বের করে নেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। তাদের বোলিং লাইনও দুর্দান্ত। আনরিখ নরখিয়া, কাগিসু রাবাদা, জেরাল্ড কোয়েটজির মতো পেসার রয়েছেন। আরও একটি বিষয় খেয়াল করলেই দু’দলের পার্থক্য বোঝা যাবে। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্কোয়াডের ১৫ জনের মধ্যে ১০ জনই খেলেছেন। সেখানে শ্রীলঙ্কা থেকে এবার আইপিএল খেলেছেন মাত্র তিন বোলার মাতিশা পাথিরানা, মহেশ থিকসেনা ও নুয়ান তুষারা।
নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ড্রপ ইন পিচ। যেখানে পেস ও বাউন্সে ভারসাম্য থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি তা হয়, তাহলে এখানে ব্যাটাররা শটস খেলতে পারবেন। যার মানে, প্রোটিয়া বিগ হিটারদের দাপট দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
Posted ৪:০১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter