খেলা ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 46 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ডি স্টেফানো-সান্তিয়াগো বার্নাব্যু কিংবা ডেভিড বেকহাম-রবার্তো কার্লোসদের জামানা অনেক আগেই শেষ! গত দুই যুগে এমন বহু রথী-মহারথীর আগমনে রিয়াল মাদ্রিদ হয়েছে আরও সমৃদ্ধ। তারাই সবচেয়ে বেশিবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছে। যাদের ঘরে ঘরোয়া ট্রফিরও ছড়াছড়ি। সর্বশেষ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সময়ও রিয়াল ছড়ি ঘুরিয়েছে গোটা ইউরোপে। কিন্তু সেই চক্রের সমাপ্তি হতে না হতেই বহু ক্লাবের উঁকিঝুঁকি।
অর্থের ঝনঝনানি আর তারকার ঝংকারে ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল কিংবা ন্যাপোলি-ইন্টারের জয়ধ্বনি শুনেছে বিশ্ব। এর মধ্যে অনেকটা রং হারিয়েছে রিয়াল। গত কয়েক বছরে এমনও মৌসুম ছিল, যে বার কোনো ট্রফিই ওঠেনি তাদের হাতে। সেই বাজে দশা কাটিয়ে ক্রমেই পুরোনো ঐতিহ্য নিয়ে ফিরতে মরিয়া রিয়াল। তার জন্য একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যও ঠিক করেছে ক্লাবটি।
যে ঐতিহ্য, যাদের রঙে রঙিন হয়েছিল ক্লাব ফুটবল। তারাই আবার নিজেদের চেনাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তারুণ্যনির্ভর দল গড়ে আবারও ফুটবল দুনিয়া শাসন করার পণ করেছেন তারা। সেটার জন্য হয়তো অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে, আরও বেশি বাধা অতিক্রম করতে হবে রিয়ালকে। তবে ক্লাবটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ শত বাধা উপেক্ষা করে হলেও রিয়ালকে আবার সুপার ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তার জন্য দুটি মৌসুমকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে তাঁকে। এই দুই মৌসুমের শেষ সময় আবার ২০২৬।
অর্থাৎ, রিয়ালের সুপার ক্লাব হওয়ার ভিশন ২৬। স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলোর দাবি, যেটা বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। যার প্রথম নমুনা পিএসজি থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে কেনা। তাঁর সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গেছে রিয়ালের। বেতন-ভাতাও ঠিক করে ফেলেছে তারা। ফরাসি দৈনিক এল ইকুয়েপে বলছে, কেবল সাইনিং বোনাস বাবদ ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি পাবেন কিলিয়ান। আর বেতনটা হবে বছরপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ইউরো। সেই সঙ্গে ইমেজ রাইটস থেকেও অর্থ পাবেন এই ফরাসি তারকা।
এমবাপ্পের পথ ধরে রিয়াল ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আরলিং হালান্ডকেও শিকার করতে চায়। সেটা ২০২৪-২৫ মৌসুমে না হলেও ২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্যই পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে হালান্ডকে না পেলে হয়তো একই ক্লাবের আর্জেন্টাইন তরুণ হুলিয়ান আলভারেজকে কিনবে ক্লাবটি। যার রিয়ালে যাওয়ার গুঞ্জন অনেক দিন ধরেই। এ ছাড়া রিয়ালের খেলোয়াড় কেনার তালিকায় শুরুর দিকে আছেন বায়ার্ন মিউনিখে খেলা ডিফেন্ডার আলফানসো ডেভিস। তাঁকে সামনের দল বদলেই কিনতে পারে মাদ্রিদের ক্লাবটি।
শুধু খেলোয়াড় নয়, কোচিং স্টাফেও পরিবর্তন আসতে পারে। সেটা অবশ্য বর্তমান কোচ কার্লো আনচেলত্তির সাফল্যের ওপর। তাঁর সঙ্গে এই টার্গেট পূরণ করতে চুক্তির মেয়াদও বাড়িয়েছে দলটি। ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত রিয়ালের কোচের চেয়ারে থাকতে পারবেন এই ইতালিয়ান। তবে এর মধ্যে যদি কোনো কারণে তিনি ব্যর্থ হন তাহলে প্ল্যান ‘বি’ হিসেবে তাদের সাবেক কোচ জিনেদিন জিদানের দ্বারস্থ হতে পারেন রিয়ালের কর্তারা। তাছাড়া জিজুর পছন্দের খেলোয়াড় এমবাপ্পে। তিনি আসলে কিলিয়ানকে নিয়ে দারুণ একটা দল গড়তে পারবেন। সেসবও ভাবছে রিয়াল।
তাদের পরিকল্পনায় বয়স্ক কোনো খেলোয়াড় থাকছে না। লুকা মডরিচ হয়তো মৌসুম শেষ হলেই মাদ্রিদ ছাড়বেন। যদিও তাঁকে কোচিং প্যানেলে থাকার জন্য একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন আনচেলত্তি। কিন্তু তিনি এখনই ফুটবলকে বিদায় বলতে চাচ্ছেন না। কিন্তু রিয়াল তাদের নীতিতে অটল। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে কাউকে বাদ দিতেও পরোয়া করবে না। তাই ২০২৬ সালের মধ্যে মডরিচের মতো অনেককেই ছাড়তে হবে রিয়াল, আবার অনেক নতুন মুখও দেখা যাবে তাদের ডেরায়।
Posted ১০:০২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter