শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুটবলারের সন্ধানে জেলায় জেলায় যেতে চান ব্রিটিশ কোচ

খেলা ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   57 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ফুটবলারের সন্ধানে জেলায় জেলায় যেতে চান ব্রিটিশ কোচ

শীতের বিকেলে কমলাপুর স্টেডিয়ামে ফুটবলাঙ্গনের ব্যস্ততা। বাফুফের এলিট একাডেমিতে নতুন ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের আগমন। একাডেমিতে থাকা ৫৬ জন ফুটবলার, কোচিং স্টাফ ও ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন গতকাল ঢাকায় আসা বাটলার।

কমলাপুর স্টেডিয়ামে একাডেমি পরির্দশন ও নতুন ছাত্রদের সঙ্গে খানিকক্ষন আলোচনা করেই গণমাধ্যমের সামনে এসেছিলেন ব্রিটিশ কোচ। প্রারম্ভিক বক্তব্যে নিজেই জানিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ থেকে বাংলাদেশের একাডেমির কোচের দায়িত্ব নেয়ার কারণ, ‘জানি এই প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই আসবে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেও কেন একাডেমির কোচ হলাম। এর আগেই উত্তর দিচ্ছি-আমি এশিয়ান অঞ্চলে কাজ করেছি। ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। জাতীয় দলে খেলোয়াড় যোগান দিতে আমি এখানে এসেছি। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করে ভালো লাগায় আমি দায়িত্ব নিয়েছি।’

বাফুফের সাবেক ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি এলিট একাডেমির দায়িত্বে ছিলেন। একাডেমির ফুটবলাররা ব্রিটিশ ফুটবল মডেল ও কোচিংয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত। পিটার ব্রিটিশ হলেও নিজেকে সেই মডেলে আবদ্ধ রাখতে চান না, ‘আমি উন্মুক্ত। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্টাইল আমি অনুশীলন করাব।’ বাফুফের সাবেক ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টরের সঙ্গে পিটারের পরিচয় নেই বলেও জানিয়েছেন।

বাফুফের এলিট একাডেমির সাবেক হেড কোচ পল স্মলি খেলোয়াড় সন্ধানে জেলা পর্যায়ে যাননি। নতুন কোচ এসে জেলা পর্যায়ে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন প্রথম কর্মদিবসেই, ‘আমি শুনেছি বাংলাদেশে ৬৪ জেলা। প্রতিটি জেলায় যাওয়া সম্ভব নয়। টুর্নামেন্ট হলে বা কোনো আয়োজন থাকলে আমি অবশ্যই কয়েকটি জেলায় যাব প্রতিভা সন্ধানে।’

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্টহামের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাটলারের। কোচ হিসেবে লাইবেরিয়া জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। খেলোয়াড় এবং কোচ উভয় দিক থেকে বেশ সমৃদ্ধশালী বাটলারের প্রতি ফেডারেশনের প্রত্যাশা সম্পর্কে বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক বলেন, ‘তার কাছে আমাদের একটাই চাওয়া মানসম্পন্ন ফুটবলার তৈরি করে বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’

একাডেমিতে এখন ৫৬ জন ফুটবলার রয়েছে অনুর্ধ্ব ১৫ ও ১৭ বছর বয়সী। এখানে আরো কয়েকজন ফুটবলার আনতে চায় ফেডারেশন, ‘আমাদের একাডেমি কাপ চলমান রয়েছে। সেই টুর্নামেন্টেও বেশ কয়েকজন মেধাবী ফুটবলারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ওখান থেকেও কয়েকজনকে একাডেমিতে নেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে একাডেমিতে ১০০ জন ফুটবলার রাখার।’

Facebook Comments Box

Posted ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com