খেলাধূলা ডেস্ক | সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 56 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
চলতি বছর সেপ্টেম্বরে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেছে বাংলাদেশ ফুটবল। জুনিয়র, সিনিয়র, নারী-পুরুষ একাধিক টুর্নামেন্টে ছিল ঐ মাসে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৯ বালক টুর্নামেন্টে বাফুফের এলিট একাডেমীর ফুটবলাররাই অংশগ্রহণ করেছে। সেপ্টেম্বরের ঐ টুর্নামেন্টের পর থেকে একাডেমীর কার্যক্রম আর নেই।
দুই টুর্নামেন্ট খেলে এসে ফুটবলাররা যার যার আবাস স্থলে গিয়েছেন। কেউ ফিরেছেন বিকেএসপিতে, কেউ আবার ভিন্ন জায়গায়। তারা জানেন না কবে আবার শুরু হবে একাডেমীর কার্যক্রম। প্রায় দেড় মাস ধরে একাডেমীতে অনুশীলন নেই। বিষয়টি অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক, ‘একাডেমীতে তারা নিয়মিত অনুশীলন করে। অনুশীলনের পাশাপাশি ছুটিরও প্রয়োজন রয়েছে। তারা এখন ছুটিতে রয়েছেন। শীঘ্রই আমরা আবার তাদের ক্যাম্পে ডাকব।’
একাডেমীতে ছুটি স্বাভাবিক ঘটনা। একাডেমীতে ছুটিও থাকে সূচিবদ্ধ। বছরের কোন সময় কত দিন ছুটি থাকবে সেটা আগেই নির্ধারিত থাকে। বাফুফের একাডেমী অবশ্য এর ব্যতিক্রম। চলতি বছরেই এ রকম দুই বার ছুটির ঘটনা ঘটল। সাফের টুর্নামেন্টের আগেও কিছু দিন ছুটি ছিল। সংশ্লিষ্টদের মতে, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে আশানুরুপ ফল না হওয়ার পেছনে সেই ছুটি অন্যতম কারণ। বাফুফের এলিট একাডেমী তত্ত্বাবধায়ন করে ডেভলপমেন্ট কমিটি। প্রায় দেড় মাস একাডেমীর কার্যক্রম নেই। কেন একাডেমী ছুটি এবং কে ছুটি দিয়েছে তা জানা নেই ডেভলপমেন্ট কমিটির অনেক সদস্যেরই।
এলিট একাডেমীর কয়েকজন ফুটবলারকে নিলামে বিক্রি করেছিল বাফুফে। সেই নিলামে সবচেয়ে বেশি ফুটবলার নিয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। সেই এলিটের ফুটবলাররা এখনো ব্রাদার্সের হয়ে খেলতে পারেনি। ফেডারেশন ব্রাদার্সকে খেলোয়াড় বাবদ অর্থ দেয়নি, আবার ফেডারেশনের কাছেও ক্লাবের পাওনা অনেক। এই দুই পক্ষের টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে ফুটবলারদের আর মাঠে নামা হয়নি।
বাফুফের সাবেক ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি নারী দল ও এলিট একাডেমী দু’টিই তত্ত্বাবধায়ন করতেন। পল স্মলি বাফুফে ছেড়েছেন চলতি বছর জুলাইয়ে। এরপর ফেডারেশনের কোচ রাশেদ আহমেদ পাপ্পু এলিট একাডেমী দেখভাল করতেন। সেই পাপ্পুও ফেডারেশনের দায়িত্ব ছেড়েছেন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। পাপ্পু বাফুফের দায়িত্ব ছেড়ে এখন ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে আছেন। ইংল্যান্ড থেকে পাপ্পু বলেন, ‘আমি অক্টোবরে পদত্যাগপত্র দিয়েছি ফেডারেশনে। দেশের বাইরে কোচিং সংক্রান্ত কাজের চেষ্টা করছি।’
পাপ্পু সম্প্রতি এএফসি’র প্রো লাইসেন্স সনদ পেয়েছেন ফলে দেশের বাইরে কোচিং করাতে তার আর বাধা নেই। যদিও প্রো লাইসেন্স কোচিং কোর্সের ইন্সট্রাকটর পল স্মলি পাপ্পুকে ফেল দেখিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য ফেডারেশনের নীতি নির্ধারকদের সহযোগিতাতেই মূলত সেই ফেল, পাশে রুপান্তরিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
Posted ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter