খেলা ডেস্ক | সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট | 77 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে যোগ হল এক নতুন অধ্যায়। প্রথমবারের মত হয়েছে ফুটবলারদের নিলাম। বাফুফের এলিট একাডেমির ১০ ফুটবলারকে শনিবার নিলামে তোলা হয়েছিল। যেখানে দেশের পেশাদার ফুটবল ক্লাবগুলো কিনে নিয়েছে একাডেমির সেরা ১০ ফুটবলারকে। উত্তাপ ছড়ানো সেই নিলামে মোহম্মদ আসিফের ভিত্তিমূল্য ৫ লাখ টাকা থাকলেও ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ‘বসুন্ধরা কিংস’ লুফে নিয়েছেন তরুণ এই গোলকিপারকে। শৈশবের বেড়ে ওঠা, ফুটবলের প্রতি ভালবাসা ও বাংলাদেশ নিয়ে মোহম্মদ আসিফ তার স্বপ্নের কথা বলেছেন সঙ্গে। তা শুনেছেন বিনায়েক রহমান।
এটার অনুভূতি আসলে এ্যামাজিং (হাসি)। অনেক ভালো লাগার একটা বিষয় যে একাডেমির আরো ভালো প্লেয়ার ছিলো তাদের থেকে আমি সর্বোচ্চ কনটাক্ট হয়েছি। বাংলাদেশ লিগ চ্যাম্পিয়ন টিমে নেয়া মানে আমার জন্য অনেক বড় বিষয়।
আমার বাড়ি খাগড়াছড়ি। কিন্তু বাবার চাকরির সুবাদে আমার বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। ছোটবেলা থেকেই চট্টগ্রামে ছিলাম। ওখানে একটা স্থানীয় একাডেমিতে প্রথম ট্রেনিং শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৮ সালে আমাকে শেখ রাসেলে নিয়ে আসেন আমার এক আত্নীয়। সেখানে একজন বিদেশি কোচের তত্ত্বাবধানে আমি প্রায় দুই থেকে আড়াই বছরের মতো ট্রেনিং করি। এরপর করোনার সময় আমি বাসায় চলে যাই। করোনার পর মুক্তিযোদ্ধাতে কিছুদিন ট্রেনিং করি। ওখান থেকেই বিপ্লব স্যার আমাকে এলিট একাডেমিতে নিয়ে আসে। এরপর এলিট একাডেমিতেই দুই বছর থেকে আছি।
আসলে এলিট একাডেমিতে আমাদের যে গাইডলাইন ছিল, তা অনেক হার্ডলি। যা একটা সাধারণ মানুষের জন্য অনেক কষ্টকর। যেমন, ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠা, প্র্যাকটিস, সকালে নাস্তা এরপর ট্রেনিং এরপর জিমনেসিয়াম। আমরা সেটা মানিয়ে নিয়েছি। সবাই আগে এমন ছিল না। একাডেমিতে আসার পর থেকে একটা ডিসিপ্লিনের মধ্যে থেকে আজ আমরা এই জায়গায় এসেছি।
আসলে ফুটবলে আমার পরিবারগতভাবে অনেক সাপোর্ট ছিলো। আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো, আমার চাচার স্বপ্ন ছিলো যে ছেলে একদিন জাতীয় দলে খেলবে।
আমাদের তৈরী করাই হয়েছে জাতীয় দলে সার্ভিস দেয়ার জন্য। এখন হয়তো ক্লাবে যাওয়ার তাই নিয়েছে এরপর ক্লাবে সেরাটা দিলে, ভালো কিছু করলে হয়তো জাতীয় দলে খেলতে পারবো।
(হাসি) আসলে আইডল বলতে স্পেশালি বাইরের দেশের সব ভালো ভালো গোলকিপারদের ফলো করি, তাদের ভিডিও দেখি। আর ছোটবেলা থেকেই যখন শেখ রাসেলে ছিলাম ওখানকার আশরাফুল রানা ছিলো উনাকে ফলো করতাম।
অবশ্য এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। জিকো ভাই এখন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলকিপার, তো উনার সাথে একসাথে ট্রেনিং করবো, একসাথে থাকবো তাই উনার কাছ থেকে অনেক ভালো কিছু শেখার আছে। উনার থেকে ভালো কিছু শেখেই বসুন্ধরায় ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।
Posted ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter