বুধবার ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসাইলাম প্রার্থীরা নিউইয়র্ক সিটি থেকে পালাচ্ছে কানাডায়

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   231 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

এসাইলাম প্রার্থীরা নিউইয়র্ক সিটি থেকে পালাচ্ছে কানাডায়

 

কাগজ রিপোর্ট
এসাইলাম প্রার্থীরা নিউইয়র্ক সিটি থেকে পালাচ্ছে। তারা সীমান্ত ক্রস করে আশ্রয় প্রার্থনা করছে পার্শ্ববর্তী দেশ কানাডায়। নিরাপদ ও উন্নত জীবনের সন্ধানে তাদের এই নতুন করে অভিযান। সিটির ক্রাইম, ড্রাগ ও নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তাদের ধারণা, ছেলেমেয়েদেরকে নিউইয়র্ক সিটিতে ভালোভাবে গড়ে তোলা যাবে না। ড্রাগের ছোবলে পারিবারিক নিশ্চয়তা ও শান্তি ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। তারা মনে করছে, কানাডায় সামাজিক সুবিধা বেশি ও নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে অধিক। তাই অনেকেই সিটির দেয়া আশ্রয়স্থল ত্যাগ করে ছুটছেন কানাডার দিকে।
মাইগ্র্যান্ট যারা চলে যেতে যাচ্ছেন তার সিটি থেকেই পাচ্ছেন টিকেট। ম্যানহাটনের পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে কর্তব্যরত ন্যাশনাল গার্ডের সৈন্যরা তাদের টিকেট প্রদান করছে। তাদের সবাই আপস্টেটের কানাডার সীমান্ত সংলগ্ন শহরগুলোর উদ্দেশ্যে বাসে উঠছে। নিউইয়র্ক পোস্টের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভেনিজুয়েলার নাগরিক রেমন্ড পেনা তার পরিবার নিয়ে গত রোববার ভোর ৪টায় আপস্টেটের প্লাটসবার্গ শহরে বাস থেকে নেমেছে। শহরটি কানাডার সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ মাইল দুরে। পেনা পোষ্টকে বলেছে, পোর্ট অথরিটি বাস স্টেশনে মিলিটারি তাদের ফ্রি টিকেট দিয়েছে। আমার পরিবারের উন্নত জীবনর আশায় কানাডা যাচ্ছি। ন্যাশনাল গার্ড পোষ্টের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। ড্রাইভারদের তথ্যানুসারে প্রতিদিন ৫টি বাস নিউইয়র্ক সিটি থেকে প্লাটসবার্গে যায়। গড়ে ১০০ মাইগ্রেন্টস সেখানে নামছে। সেখান থেকে তারা সরাসরি চলে যায় কানাডার সীমান্তে। তারপর শুরু হয় আশ্রয় প্রার্থনার দ্বিতীয় যুদ্ধ। আমেরিকায় প্রবেশ করতেও তারা আরেকটি জীবন যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মেক্সিকো হয়ে প্রবেশ করেছিল স্বপ্নের আমেরিকায়। এখন আবার আরেক স্বপ্নের জন্য পথ চলা।
এদিকে সিটি হলের একটি দায়িত্বশীল সুত্র নিশ্চিত করেছে, যদি কোন মাইগ্রেন্ট সিটি থেকে অন্য কোথাও যেতে চায় তবে রিটার্ন টিকেট দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মেয়র এরিক এডামস প্রশাসন বিভিন্ন কোম্পানীকে অর্থ প্রদান করেছে। মাইগ্রেন্টদের সিটি ত্যাগে বেশ কিছু ক্যাথোলিক গ্রুপ ও নন প্রোফিট সংস্থা সাহায্য করছে। ক্যাথোলিক চ্যারিটি কমিউনিটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, কোন মাইগ্রেন্ট যদি অন্য সিটিতে রিলোকেট করতে চায় তাদের অর্থসহ সহায়তা করা হচ্ছে।
মাইগ্রেনাট সলজারমো’র ভাষায়,আমি নিউইয়র্কে এসেছিলাম আমার কন্যার ভবিষ্যত চিন্তা করে। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই দেখলাম এখানকার নিরাপত্তাহীনতা ও সর্বত্র হোমলেস পিপল। অনেকেই আমাদের দেখে চিৎকার করে। কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই। আমি কানাডা যাচ্ছি নিরাপত্তা ও আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে।
গত ১ বছরে টেক্সাস সীমান্ত হয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রায় ৩৫ হাজার মাইগ্রেন্ট আশ্রয় নিয়েছে। যাদের অধিকাংশই টেক্সাস গর্ভনর অ্যাবোটের পাঠানো বাসে করে। সিটি কর্তৃপক্ষ এ বিশাল পরিমান মাইগ্র্যান্টদেও সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

Facebook Comments Box

Posted ৬:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com