
ডেস্ক রিপোর্ট | রবিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 264 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
গত কয়েক বছর কারও জন্য সহজ ছিল না। জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা, যুদ্ধসহ নানা সমস্যায় আক্রান্ত এ ধরণি। এর মধ্যেও সমতা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও শান্তির জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন অনেকে। এমন পাঁচজনের কথা এখানে তুলে ধরা হলো।
সেরেনা উইলিয়ামস
আপনি হয়তো সেরেনা উইলিয়ামসকে চেনেন একজন অসাধারণ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে, যিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক টুর্নামেন্ট জিতেছেন। তবে তাঁর রয়েছে আরেক পরিচিতি। তিনি ইউনিসেফের দূত হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। ইউনিসেফের মাধ্যমে তিনি আফ্রিকা মহাদেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এবং ঘানায় টিকাদান কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। শুধু তা-ই নয়, কৃষ্ণাঙ্গদের সমানাধিকারের প্রশ্নে গড়ে ওঠা ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন সেরেনা।
সিলভিয়া ভাসকুয়েজ-লাভাডো
সিলভিয়া ভাসকুয়েজ-লাভাডোর সবচেয়ে বড় পরিচয় তাঁর বই ইন দ্য শ্যাডো অব দ্য মাউন্টেন :আ মেমোয়ার অব কারেজ। পেরুর এই সমকামী নারী পর্বতারোহী সেভেন সামিট (সাতটি মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বত) সম্পূর্ণ করেছেন।
যৌন নির্যাতন থেকে বেঁচে ফেরা এবং এর নিরাময় যাত্রায় আত্মঘাতী প্রবণতা কাটিয়ে ওঠার পর সিলভিয়া পর্বতারোহণ শুরু করেন। খেলাধুলা, বিশেষ করে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া নারীদের সাহায্য করার জন্য একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। কারেজাস গার্লসের (তাঁর অলাভজনক সংস্থা) মূল প্রতিপাদ্য- ‘সাহসী কাজের মাধ্যমে নিরাময়’। তাঁদের লক্ষ্য- অল্পবয়সী মেয়ে এবং নারীদের ক্ষমতায়ন এবং প্রকৃতির দুঃসাহসিক কাজের মাধ্যমে তাঁদের নিরাময় করতে সাহায্য করা।
শিনা নোভালিঙ্গা
গলা দিয়ে গান করা কি জানেন? যদি না জানেন, এই নিবন্ধটি পড়া শেষ করুন এবং এরপর ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকে শিনা নোভালিঙ্গাকে দেখুন। এই ইনুক নারী তাঁর ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী মানুষকে জানাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। ইনুক সংস্কৃতির বিশেষ বিষয় হলো গলা দিয়ে গান করা। মায়ের সঙ্গে মিলে তিনি গলা দিয়ে গান করাকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ; কারণ, বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে খ্রিষ্টান মিশনারি এটিকে নিষিদ্ধ করেছিল। তারা গলা দিয়ে গান করাকে শয়তানি হিসেবে দেখেছিল। এই নিষেধাজ্ঞা ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়নি!
সিসিলিয়া জেন্টিলি
‘পোজ’ টিভি শো দিয়ে পরিচিতি পান সিসিলিয়া জেন্টিলি। একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী হিসেবে ১৯৯৯ সালে আর্জেন্টিনা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি নিরাপদ জীবনের সন্ধান করা তাঁর জন্য সহজ কাজ ছিল না। তিনি ১০ বছর অনথিভুক্ত অভিবাসী হিসেবে বসবাস করেছেন, যা তাঁকে যৌন বাণিজ্য ও মাদকের দিকে ধাবিত হতে বাধ্য করে। কিন্তু তাঁর গল্প সেখানে শেষ হয়নি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর এবং আসক্তি থেকে মুক্ত হয়ে জেন্টিলি নিউইয়র্ক সিটি এলজিবিটি কমিউনিটি সেন্টারে একটি ইন্টার্নশিপ শুরু করেন, যা তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। তাঁর কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না, কিন্তু ওই ইন্টার্নশিপ তাঁকে এলজিবিটিকিউ অধিকারের পক্ষে একজন অগ্রণী ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরে।
নিউইয়র্ক জেন্ডার এক্সপ্রেশন এবং নন-ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট পাস করার জন্য জেন্টিলি কঠোর লড়াই করেছিলেন, যা লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
Posted ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Stuff Reporter