
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ | প্রিন্ট | 66 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
প্রবীণ সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও গবেষক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য সিরাজুল হকের নামাজে জানাজা শুক্রবার ২৭ জুন)বাদ জুমা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মরদেহ ঐদিনই ঢাকায় প্রেরণ করা হয় এবং ঢাকায় আজিমপুর কবরস্থানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে সিরাজুল হকের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
মরহুম সিরাজুল হক নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবেরও সদস্য ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা সহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। গত ২৬ জুন বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ে এবং নাতি—নাতনী সহ বহু আত্বীয়—স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত মরহুম সিরাজুল হকের জানাজা নামাজে ইমামতি করেন জেএমসি’র ইমাম ও খতিব মির্জা আবু জাফর বেগ। জানাজার আগে উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তার কন্যা জামাতা এবিএম সালেউদ্দিন। জানাজায় প্রবীণ সাংবাদিক কাজী শামসুল হক, ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি মাহমুদ খান তাসের, সাধারণ সম্পাদক মমিন মজুমদার, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ প্রতিদিন—এর নির্বাহী সম্পাদক লাবলু আনসার, আজকের টেলিগ্রাম ও সাপ্তাহিক হককথা সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক রূপসী বাংলা সম্পাদক শাহ জে চৌধুরী সহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। এদিন আরো একজন প্রবাসীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে শুক্রবার জানাজা শেষে ঐদিনই (২৭ জুন) কাতার এয়ারলাইন্সের রাতের একটি ফ্লাইটে মরহুম সিরাজুল হকের মরদেহ ঢাকায় পাঠানো হয়। মরদেহের সাথে তার কন্যা সাঈদা আখতার রেজভীন ও জামাতা এবিএম সালেহউদ্দীন একই ফ্লাইটে ঢাকায় যান। ঢাকায় রোববার (২৯ জুন) স্থানীয় সময় সকালে মরদেহ পৌছার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের দুই দফা জানাজা শেষে মরহুম সিরাজুল হকের মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। (নিউইয়র্ক ,ইউএনএ )
Posted ৬:৩৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
nykagoj.com | Monwarul Islam