অ্যাডভারটাইজিং ব্যানার ও প্রিন্টিং খাতের টোটাল সল্যুশন নিয়ে নিউইয়র্কে যাত্রা শুরু করেছে এ খাতের প্রথম বাংলাদেশি হোলসেল প্রতিষ্ঠান ইশিকা সাইন সাপ্লাই। গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ৮৪—২২, ১০১ এভিনিউ, ওজন পার্কে ‘ঈষিকা সাইন সাপ্লাই হউল সেল’র গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়। একইসঙ্গে ৫২ ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইশিকার সাপ্লাই অ্যান্ড প্রিন্টিং এর প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও, আজকাল সম্পাদক ও প্রকাশক শাহ নেওয়াজ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী একেএম ফজলুল হক, টাইম টিভির সিউও আবু তাহের, জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাইদ, শাহ জে চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সহসভাপতি ময়নুজ্জামান, ফিন্যান্সিং এজেন্ট শেরিন গুরু ও ভারত প্যাটেল প্রমুখ। অনুষ্ঠানের অতিথিরা বিভিন্ন প্রিন্টিং সামগ্রী ও আধুনিক মেশিন পরিদর্শন করেন এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রিন্টিং কাজের উদ্বোধন করেন।
প্রতিষ্ঠানের কর্মব্যক্তিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর শাহিন ভূঁইয়া, ম্যানেজার রুহুল আমিন, টেকনিক্যাল এন্ড প্রিন্টিং এক্সিকিউটিভ শফিকুর রহমান, ডেলিভারি এন্ড ওয়্যারহাউস ম্যানেজমেন্ট আদনানসহ অন্যরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহ নেওয়াজ বলেন, কমিনিটিতে এই প্রথম প্রিন্টিং ও সাপ্লাই খাতে ব্যবসা শুরু করেছে ইশিকা সাপ্লাই হোলসেল। বিভিন্ন বড় বড় ফ্রাঞ্চাইজিতে যত সাইন ব্যানার প্রয়োজন এবং তাতে যে মেটেরিয়ালস লাগবে সেই সব প্রিন্টিং ব্যবসায়ীরা আমাদের থেকে হোলসেলে মেটাল, এ্যালোমোনিয়াম ও মেশিনসহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে পারবে। এতে অন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোন কম্পিটিশনের সুযোগ নেই। কারন এটি সম্পূর্ণ একটি হোলসেল ব্যবসায়। এটি প্রিন্টিং খাতের ওয়ান স্টপ সল্যুশন। রিটেইল ব্যবসায়ীরা সব ধরনের সেবা এখানে পাবেন। এছাড়াও প্রিন্টিং পেপার, প্রিন্টিং বোর্ডসহ যে কোন ধরনের প্রিন্টিং ম্যাটেরিয়ালের পাশাপাশি হোলসেল ভাবে প্রিন্টিংও করিয়ে নিতে পারবেন। আমাদের কাছে বিশাল আকারের প্রিন্টিং করিয়ে নেয়া যাবে। যা এতোদিন কমিউনিটির মানুষজন বাংলাদেশ থেকে করিয়ে আনতেন। সর্বোচ্চ ১০ ফিট বাই দেড়শ ফিট সাইজের বিশাল প্রিন্টিং করা যাবে। তাছাড়া এ প্রিন্টিং হবে স্ক্র্যাচ মুক্ত। আমাদের কাছ থেকে পণ্য কিনলে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন স্থানেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহের ব্যবস্তাও আমাদের আছে।

তিনি বলেন, ২০০০ সালে শাহ নেওয়াজ গ্রুপ যাত্রা শুরু করে। আশাকরি কমিনিউটিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আরও এগিয়ে যাব।
প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর শাহিন ভূঁইয়া, ১৯ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এ প্রতিষ্ঠান শুরু করেছি। ইশিকা সাইন সাপ্লাইয়ে কোয়ালিটির সঙ্গে কোন কম্প্রোমাইজ হবে না। সবাই এখান থেকে সর্বোচ্চ মানের সেবা ও পণ্যই পাবে। আমাদের ডেডিকেটেড স্টাফ রয়েছে।
নীল—ত্রিভেদী (ডেপুটি চিপ অব স্টেট) বলেন, বাংলাদেশকে ভাষা সংগ্রামের স্মরণীয় এই দিনে ইশিকা যাত্রা শুরু করায় তাদেরকে স্বাগত। আশা করি তাদের এই যাত্রা কমিউনিটির অগ্রযাত্রা থেকে আরো বাড়িয়ে দেবে।
ফিরোজ আহমেদ বলেন, প্রিন্টিং ও সাপ্লাই সহ এ ধরনের কাজ