নিউইয়র্কের বাফেলো থেকে বাংলাদেশী যুবক গ্রেফতার। জেনেসি ও হারলেম কর্ণারে স্পিডওয়ে গ্যাস স্টেশন থেকে রানা নামে এক যুবককে সকাল ৮ টায় ইমেগ্রেশন পুলিশ গ্রেফতার করে। তার গ্রামের বাড়ী বাংলাদেশের নোয়াখালীতে। রানার এ্যাসাইলাম মামলা চলমান রয়েছে। তবে ওয়ার্কপারমিট নেই। এ্যাসাইলাম রিজেক্ট হওয়ার পর নতুন করে আপিল করা হয়েছে। তার এক আত্মীয় জানিয়েছে রানার বিষয়ে এর্টনীকে কাজ করছে। ধারণা করা হচেছ রানাকে ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস স্টেশন লোকেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাসা ইস্ট ডেলিভান সংলগ্ন। বর্তমানে সে ইনডিপেনডেন্ট কট্রাক্টর হিসেবে কাজ করছে। বাফেলোতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আনডকুমেনটেড ব্যক্তি গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার প্রথম কোন বাংলাদেশী গ্রেফতার হয়েছেন। এটর্নী রাজু মহাজন বলেছেন, ইমেগ্রেশন পুলিশ গ্রেফতার করলে প্রথমে বলুন ‘আই রিমেন সাইলেন্ট’। এরপর বলুন আই ওয়ান টু টক এটর্নি। আপনার কোন ডকুমেন্ট না থাকলে জি ২৮ ফরম যা আপনার আইনজীবির সঙ্গে আপনার লিগ্যাল চুক্তিনামা দেখান। এ তিনটি কাজ করলে ডিপোর্টেশনের হাত থেকে রক্ষা করা সহজ হবে। এ ছাড়াও আনডকুমেনটেড ব্যক্তিদের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার যা পূর্বে ইমেগ্রেশনকে দিয়েছিলেন, সম্ভব হলে তা পরিবর্তন করুন। গ্রেফতার হলে কোন মিথ্যা তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আনডকুমেনটেড গ্রেফতার অভিজানের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ জন বাংলাদেশী গ্রেফতারের খবর পাওয়া গিয়েছে। নিউইয়র্ক সিটিতে ২ জন ফিলাডেলফিয়াতে ১ জন বাফেলোতে একজন আটলান্টাতে একজন।