উত্তর আমেরিকায় অন্যতম শীর্ষ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ’র প্রধান নির্বাহী মাসুম মাহবুব বলেছেন জনসমাজের সাথে দৃঢ় আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ কাজের মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণমূলক কাজের অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

৩০ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা অফিসে দেয়া এক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ এবং নিউইয়র্ক প্রথম আলো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতের উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাসুম মাহবুব। জ্যাকসন হাইটসে প্রথম আলো কার্যালয়ে তাঁকে স্বাগত জানান সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী এবং প্রথম আলো পরিবারের কর্মীরা।
বছর শেষের এক নির্মল অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শীতের উপহার প্রদান করা হয় নিউইয়র্ক জনসমাজের অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের। উপহার পাওয়ার তালিকায় ছিলেন কোনো লেখক সাংবাদিক, কারো মা বাবা, কারো সন্তান বা প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার সাথে সংশ্লিষ্ট কারো জীবনসঙ্গী। অনেকেই ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানে উপহার পেয়ে আনন্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। স্বল্প পরিসরের কার্যালয় থেকে বিকেল চারটায় উপহার প্রদান শুরু হয়। শুরুতেই নিউইয়র্ক প্রথম আলো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী বলেন, জনসমাজের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও ভালোবাসার আদান প্রদানের মাধ্যমে সময়ের অনেক চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করা সম্ভব। তিনি বলেন, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই চিন্তায় ও কর্মে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। একটি ভালোবাসার প্লাটফর্ম হিসেবে এখানে সবাই নিজেকে অসংকোচে প্রকাশ করতে পারেন। এ প্রকাশ যদি ভালোবাসার হয়, যদি বিদ্বেষের না হয়, যদি শান্তির পক্ষে হয়- তখনই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মাসুম মাহবুব তার বক্তৃতায় হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ’র কাজ কর্ম নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। মধ্যপ্রাচ্য সহ বাংলাদেশে বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরেন। সহযোগী পত্রিকা সাপ্তাহিক প্রবাসের সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ প্রথম আলোর এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সেক্রেটারি মশিউর রহমান মজুমদার উপস্থিত লেখক সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল হক, লেখক সাংবাদিকদের মধ্যে রহমান মাহবুব, মনিজা রহমান, এইচ বি রিতা, শেলী জামান খান, রওশন হক, সোহানা নাজনীন, রাশীদা আখতার, ফরিদা ইয়াসমীন,রুপা খানম, সেমু আফরোজা,শাহানা বেগম, রওশন জাহান, মনীষা দত্ত তৃষা, আব্দুল কাইউম, আছকির মিয়া, মোহাম্মদ আলী, জাকির হোসেইন, শাফায়েত মজুমদার, বিলকিস আক্তার সুমি, ইসমত হানিফা প্রমুখ।
সন্ধ্যার পর লেখক সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। তিনি প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার লেখক সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনসমাজকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান এবং প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পাশে যেমন সবসময় আছেন, এমন করে থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।