
ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 142 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বাংলাদেশের ৫৪ তম বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক। গত ১৬ ডিসেম্বর এস্টোরিয়ায় কনসুলেটের নতুন অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও ২০২৪ জুলাই—আগষ্টের শহীদদের স্মরণ করা হয়।
জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘গণমুক্তি অনিবার্য’ নামক একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া এবং সকল বীরাঙ্গনা, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল স্তরের নেতা—কর্মীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিক সচেষ্ট থাকতে হবে। ২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেছে। ২০২৪ সালের ফ্যসিবাদ বিরোধী ও বৈষম্য বিরোধী গণ—অভ্যুথান বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা মেরামত তথা সংস্কারের এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে সকলের ঐকান্তিক সহযোগীতা প্রয়োজন। বাংলাদেশের আর্থ—সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে বাসবাসরত প্রবাসী ভাই—বোনদের অধিকতর অবদান রাখার জন্য তিনি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ২৪ এর জুলাই—আগষ্টে গণ—অভ্যুত্থানে শহীূদ ছাত্র—জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা কনসুলেটের কর্তকর্তা করেন নূর সোহেল। উন্মুক্ত আলোচনায় নিউইয়র্কস্থ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। তারা বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে তারা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং দেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। পাশাপাশি ৫২ থেকে শুরু করে ২৪ সকল শহীদ ও যোদ্ধাদেরও সম্মান সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করা উচিত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সদস্য আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, মায়ের মৃত্যু দিবস যেই আয়োজন করুক সন্তান সেখানে যাবেই। তেমনি মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ সবার, বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের সবাই থাকা উচিত। ভারত পালিয়ে তাকাচ্ছে বিরোধী দলীয় নেত্রী হওয়া অনেক ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, যেকোনো যুদ্ধেই প্রবাসীরাও বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। তাই তাদের কথা মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশে যদি দুর্নীতি, একনায়ক তন্ত্র না থাকতো সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যেত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসরাত জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সাংবাদিক তাসের মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডঃ মুজিবুর রহমান মজুমদার, জ্যাকব মিল্টন, সাংবাদিক আবু তাহের প্রমুখ।
পরে কমিউনিটির শিল্পীদের দ্বারা মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Posted ১১:১১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam