সোমবার ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

চট্রগ্রাম সমিতির তাহের আরিফদের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   74 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

চট্রগ্রাম সমিতির তাহের আরিফদের সংবাদ সম্মেলন

চিটাগং অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইনকের (চট্টগ্রাম সমিতি) নির্বাচনে অন্য প্যানেলের জয়ীদের অবিলম্বে শপথ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তাহের—আরিফ প্যানেলের সদস্যরা। ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা—সভাপতি আব্দুর রহিম, ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. শাহজাহান, সাবেক সভাপতি কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম ও মুনির আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন কে চৌধুরী, সাবেক সদস্য কামাল হোসেন মিঠু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ চৌধুরী, সৈয়্যদ এম হোসেন বাবর, টি আলম, শওকত হোসেন স্বজন, শফিকুল আলম, ফরিদ আহমেদ, আবুল কালাম, জাবের শাফি, মোহাম্মদ নুরুল আমিন, ইমরুল কায়সার, মোহাম্মদ ইসা, নওশাদ কামাল, মো. আজিম সম্রাট, কাউচার চোধুরী, মেজবা আহমেদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য আরিফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এতে ছয়টি চ্যালেঞ্জ ভোট জমা পরে। চূড়ান্ত ভোট গণনা শেষে দেখা যায় চারটি পদে এই ছয়টি চ্যালেঞ্জ ভোট ফলাফলে ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা আছে। তাই নির্বাচনের দিন থেকেই উপরোক্ত ছয়টি চ্যালেঞ্জ ভোট নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ‘ইউনাইটেড ব্যালট’ কাছে চলে যায়। নিরীক্ষণ শেষে মোট ছয়টি ভোট হতে দুটি ভোট বাতিল বিবেচিত হয় এবং চারটি ভোট গণনার জন্য ইউনাইটেড ব্যালটকে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনাইটেড ব্যালট চারটি ভোট গণনা করে ২৫ অক্টোবর নির্বাচনী ফলাফলের সার্টিফায়েড কপি নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রেরণ করেন। নির্বাচন কমিশন এই ফলাফলটি তাদের অফিসিয়াল ইমেইলের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীকে অবগত করেন। পত্রপত্রিকায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, নির্বাচনের দিন রাতে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ভাষায় জানায়, চ্যালেঞ্জ ভোট গণনার পরেই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে। কিন্তু একটি মহল অত্যন্ত শিশুসুলভভাবে আংশিক ফলাফলে অতি উৎসাহী হয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। যদিও এই উল্লাস ছিল ক্ষণিকের। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ নয়টি পদে তাহের—আরিফ পরিষদের নেতৃবৃন্দ নির্বাচিত হন। অন্যপক্ষে মাকসুদ—মাসুদ পরিষদের দশজন নির্বাচিত হন। নির্বাচনে নেতৃস্থানীয় পদে হেরে গিয়ে কতিপয় প্রাথী এবং তাদের সমর্থকরা উদ্ভট আচরণ শুরু করেন। পরাজিত সভাপতি প্রার্থী মাকসুদুল হক চৌধুরী প্রকাশ্যে ফেসবুক লাইভে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বর্ণবিদ্বেষী বক্তব্য দেয়। নির্বাচনে হেরে গিয়ে মাকসুদ গং নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। ‘নো আইডি নো ভোট’ অপব্যাখ্যা দেয়া শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চট্টগ্রাম ভবনে প্রবেশ করে অসাংবিধানিকভাবে এবং হাস্যরসের সৃষ্টি করে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে শপথ গ্রহণের নাটক করে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রাম সমিতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়েও যথাযথভাবে শপথ গ্রহণ করেননি, তারা যদি অবিলম্বে শপথ না নেন তবে নির্বাচনে দ্বিতীয় ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীদের শপথ না নেওয়া পদে নির্বাচিত ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছি। কমিশন এসব পদে নতুন প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করলে তাদের নিয়েই সংগঠনের কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চট্টগ্রাম সমিতি একটি কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান।

 

Facebook Comments Box

Posted ৩:৪২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com