
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 52 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন উপমহাদেশের রাজনীতিকদের আইকন। বঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছে। কিন্তু তাকে যথাযথ সম্মান করা হয়নি বলে মনে করেন বক্তারা। মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।
নিউইয়র্ক গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে এই সভার আয়োজন করে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশন, নিউইয়র্ক। ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলী ইমামের সভাপতিত্বে বিশেষ আলোচক ছিলেন কানাডা প্রবাসী ভাসানী গবেষক ড. আবিদ বাহার এবং কলকাতার ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসিফ আকরাম। ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসেরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ হোসেন খান, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সিনিয়র সাংবাদিক মাহমুদ খান তাসের, সাঈদ তারেক, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ড. মাহফুজ চৌধুরী, সাবেক এমপি লুৎফর রহমান চৌধুরী হেলাল, মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হারিস উদ্দিন আহমেদ, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম, প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাইয়িদ, আনোয়ার হোসেন লিটন, হাকিকুল ইসরাম খোকন, এডভোকেট মজিবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মাহাতাব উদ্দিন, এবিএম ওসমান গণি, কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, ডা. নার্গিস রহমান, কাজী ফৌজিয়া, আহমেদ সোহেল, গিয়াস উদ্দীন, ইকবাল হায়দার,মোস্তফা করিম ফরিদ,এডভোকেট হারিস উদ্দীন, মফিজুল ইসলাম রুমি, আমির খান জাকির,খোন্দকার ফরহাদ, ফারুক মজুমদার, শামসুন্নাহার নিরা, ইঞ্জি. খালেক, মাহমুদা শিরিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিউইয়র্কের দেলোয়ার হোসেন শিপন ও আব্দুল কাদের প্রমুখ ।
সভার শুরুতে সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে মাওলানা ভাসানীর জীবন ভিত্তিক একটি বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে শূটিং শেষে এটি নির্মাণ করেন সংগঠনের নির্বাহি কমিটির সদস্য ইঞ্জি: আবদুস সোবহান।
সভায় ‘রবুবিয়াত : এ র্যাডিক্যাল অ্যাপ্রোচ টু ইসলামিক সোস্যালিজম’ শীর্ষক মূল বক্তব্যে ড. আসিফ আকরাম বলেন, অনেকের ধারণা ভাসানী ছিলেন বামপন্থী বা মুসলিম বিরোধী। আসলে কি তাই? না। ভাসানীর রাজনীতি ছিলো গণ—মানুষের জন্য রাজনীতি। তাঁর দর্শন ছিলো ইসলাম আর সমাজতন্ত্রের সন্নিবেশন। মওলানাকে বুঝতে হলে তাঁর রবুবিয়াত সম্পর্কে জানতে হবে, পড়তে হবে, গবেষণা করতে হবে।
ড. আবিদ বাহার বলেন, মওলানা ভাসানীকে বুঝতে হলে তাঁকে জানতে হবে, চিনতে হবে। আর এজন্য মওলানাকে নিয়ে দেশ ও প্রবাসে বেশী বেশী গবেষণা প্রয়োজন। পাশাপাশি মওলানাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সবাই মিলেই এই কাজ করতে হবে।
গভায় বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিকদের আইকনিক নেতা। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর মতো নেতা উপমাহাদেশে বিরল। তিনিই একমাত্র নেতা যিনি ক্ষমতার রাজনীতি না করে মেহনতি মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করেছেন। কুঁড়ে ঘরে থেকে রাজনীতি করেছেন। সকল ধর্মের উর্দ্বে উঠে মানবতা আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করেছেন। ভাসানীকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তাঁকে নিয়ে দেশ ও প্রবাসে বেশী বেশী গবেষণা হওয়া দরকার। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে যথাযথ সম্মান জানাতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীই ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশের ‘ফাউন্ডার ফাদার’। তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি। ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা, আপসহীন নেতা। জাতির কাছে তাকে চিরদিন অবিস্মরণীয় করে রাখাতে পাঠ্যবইয়ে সঠিক ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
##
Posted ৩:৫৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam