লাইফস্টাইল ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 50 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কিছু অভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর খাবার বাড়তি ওজনের জন্য দায়ী। ওজন বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেশার থেকে শুরু করে নানা অসুখ জেঁকে বসে। তাই ওজন যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। ওজন কমানের চেষ্টা করলে কিছু বদ অভ্যাস বাদ দিতে হবে। কেননা, রাতের কয়েকটি অভ্যাসের কারণে ওজন বাড়ে।
খাওয়ার পর পানি পান
অনেকেরই খাবার খাওয়ার পরপর পানি পানের অভ্যাস রয়েছে। এ কারণেই ওজন বাড়ে। খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে পাকস্থলীতে থাকা উৎসেচকের কার্যক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে যেতে পারে। হজম প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয়। বিপাকের হারও হ্রাস পায়। এ কারণে ওজন বাড়ে। তাই রাতের খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান না করে ১৫-৩০ মিনিট পর পান করুন।
মধ্যরাতে স্ন্যাকস
আপনি কি অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন? রাতে ক্ষুধা লাগলে চিপস, পিৎজা বা অন্যান্য হাই ক্যালরিযুক্ত খাবার খান? তাহলে ওজন তো বাড়বেই। কারণ, এসব হাই ক্যালরিযুক্ত খাবারে থাকা ফ্যাট শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়। এসব খাবার খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই ভুলেও রাতে এসব খাবার খাবেন না। তার পরিবর্তে বাসায় তৈরি হালকা খাবার খান।
খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া
অনেকেই খাবার খাওয়ার পরপর শুয়ে পড়েন। এ কারণে হজমপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। খাবার খাওয়ার পর শুয়ে পড়লে ওজনও বাড়ে দ্রুত। তাই ভুলেও রাতে খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যাবেন না। বরং কিছুক্ষণ হেঁটে নিন।
মিষ্টি খাওয়ার নেশা
অনেকেই রাতে মিষ্টি খাবার খেতে ভালোবাসেন। যেমন রসোগোল্লা, সন্দেশ, ফিরনি ইত্যাদি। রাতে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ওজন বাড়ে। কেননা, মিষ্টি হলো ক্যালরির ভান্ডার। রাতের বেলায় যে কোনো হাই ক্যালরি ফুড খেলে ওজন বেড়ে যায়। তাই ভুলেও রাতে মিষ্টি খাবেন না। তার বদলে অল্প একটু দুধ পান করতে পারেন।
বেশি রাতে ঘুমাতে যাওয়া
রোজ রোজ বেশি রাত করে ঘুমালে শরীর খারাপ হয়। বেশি রাতে ঘুমালে বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এ কারণে ওজন বাড়ে। তাই রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
Posted ৩:৩৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter