
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 229 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে উচ্চ শিক্ষিত অবৈধ ইমিগ্রান্টদের বৈধতা দেবেনে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর বা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। এমন কাগজপত্রহীন বা অবৈধ উচ্চ শিক্ষিতদের এসাইলাম দেবার ঘোষণাকে ইমিগ্রান্ট বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের শুভ বুদ্ধির উদয় হিসেবে অভিহিত করেছেন। ১০ লাখ অভিবাসীকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এসাইলাম দেবার ঘোষণার ৭ দিনের মাথায় ট্রাম্পের এই ধরনের বক্তব্যকে অনেকেই কৌতুহলের দৃষ্টিতে দেখছেন। এই ট্রাম্পই বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইমিগ্রান্টদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেবেন। সাধারণত অভিবাসন বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর হলেও এই ঘোষণা তার সুর নরম হওয়ার লক্ষণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার ট্রাম্প অল—ইন পডকাস্টকে এমন কথা বলেছেন।।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যা করতে চাই এবং আমি যা করবো। কাগজপত্র না থাকলেও একটি কলেজ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করলে তাকে আমরা এ দেশের কাজে লাগাতে পারি। যুক্তরাষ্ট্রের অথনীতিতে তারা অবদান রাখতে পারবেন।যুক্তরাষ্ট্রের বোঝা না হয়ে এদেশকে এগিয়ে নিতে এই ইমিগ্রান্টরা ভূমিকা রাখতে পারেন। তাদের বৈধতা দিতে কারো আপত্তি থাকবার কথা নয়।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী আবাসন কার্ডই গ্রিনকার্ড নামে পরিচিত। আর এটি হলো দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার একটি ধাপ। ট্রাম্প বলেন, কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি বা কমিউনিটি কলেজ থেকে কেউ দুই বছরের প্রোগ্রাম শেষ করতে পারলে তাকে বৈধতা দিতে আমার আপত্তি নেই। আমি আবার প্রেসিডেন্ট হলে শিক্ষিতদের এসাইলাম দেবার প্রতিশ্রম্নতি দিচ্ছি। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ও এই প্রতিশ্রম্নতি বাস্তবায়ন হবার পর সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন ওবামা’র আমলে ডাকার অধীনে থাকা সাড়ে ৬ লাখ যুবকযুবতী।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এমন অনেকের কথা জানি, যারা এখানকার নামকরা বা সাধারণ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন এবং তারা এখানে থাকতে মরিয়া। কিন্তু পারছেন না।’ ট্রাম্প বলেন, তারা ভারতে ফিরে যাচ্ছেন, চীনে ফিরে যাচ্ছেন। তারা সেখানে গিয়ে একই ধরনের কোম্পানি চালু করছেন এবং তারা হাজারো জনবল নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠছেন। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে করিৎকর্মা জনবল দরকার। কিন্তু তারা এখানকার কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো চুক্তিও করতে পারেন না। কারণ তারা মনে করেন না, তারা এ দেশে থাকতে পারবেন। আর কাজটি প্রথম দিনেই (ট্রাম্প নির্বাচিত হলে) শেষ করা হবে।
Posted ৬:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam