লাইফস্টাইল ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 39 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
আজকাল অনেকেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। এক সময় এই সমস্যা শুধুমাত্র মাঝবয়সী কিংবা বয়স্কদের হলেও এখন তরুণদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা করা না হলে ধীরে ধীরে তা লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারে রূপ নেয়। জন হপকিন্স মেডিসিনের তথ্য অনুসারে, সময়ের সাথে সাথে লিভারের অভ্যন্তরে চর্বি জমে যা লিভারের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এ কারণে এটাকে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলা হয়।
সাধারণত যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করেন তাদের মধ্যে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে খারাপ খাদ্যাভ্যাসসহ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি এবং ব্যায়ামের অভাবও এই রোগের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়। আবার ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপের মতো কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তৈরি করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ধরা পড়লে জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
বর্তমানে অল্পবয়সীদের মধ্যে নানা কারণে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। তবে এর মধ্যে জীবনযাপন পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তরুণদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ার বেশ কিছু কারণ এবং প্রতিকারের পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিনিত শাহ। যেমন-
খারাপ খাদ্যাভ্যাস : প্রক্রিয়াজাত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, শর্করা এবং অত্যাধিক ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়াতে পারে। অল্প বয়সীদের মধ্যে ফাস্ট ফুড এবং চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণের প্রবণতা এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
জীবনযাত্রা পরিবর্তন: ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা লিভারের ফ্যাটি কমাতে সাহায্য করতে পারে। যতটা সম্ভব চিনিযুক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। চিনিযুক্ত পানীয়ের পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় ভেষজ চা অন্তর্ভুক্ত করা উপকারী হতে পারে।
দীর্ঘ সময় বসে থাকা : শারীরিক কার্যকলাপের অভাব ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। অল্প বয়সীদের মধ্যে যারা দীর্ঘ সময় ডেস্কে বসে কাজ করেন তাদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ছে।
শারীরিক কার্যকলাম: নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম অপরিহার্য। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ৩০ মিনিটের মাঝারি বা তীব্র ব্যায়াম, যেমন দ্রুত হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটা লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে। দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ না করে কিছুক্ষণ পর পর বিরতি নেওয়া এবং সারাদিনে আরও হাঁটাচলার মধ্যে থাকা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে উপকারী হতে পারে।
স্থূলতা : শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ করে পেটের স্থূলতা ফ্যাটি লিভার রোগের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির কারণ। স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন অল্প বয়সীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
ডা. বিনিত শাহের মতে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও লিভারের ক্ষতি রোধ করতে অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যা ওয়া ভালো।
Posted ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter