লাইফস্টাইল ডেস্ক | সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 54 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
অনেকের ত্বক বেশ সংবেদনশীল। নতুন কোনও প্রসাধনী ত্বকে মাখলেই র্যাশ বেরিয়ে যায়। ওয়াক্সিং করলে ত্বকে দেখা দেয় লালচে ভাব। কারও কারও আবার মেকআপ করার পরদিনই মুখভর্তি ব্রণ, র্যাশে ভরে যায়। কেউ কেউ সারা বছরই চুলকানি, ফুসকুড়ির মতো ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এসবই সংবেদনশীল ত্বকের লক্ষণ। ত্বক অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হলে সব ধরনের পণ্য ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু আপনি যদি ভুল করে কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করেন এবং র্যাশের সম্মুখীন হোন, তখন কী করবেন?
কোল্ড কমপ্রেস: ত্বকের চুলকানি, প্রদাহ, লালচে ভাব কিংবা র্যাশ থেকে তৎক্ষণাৎ আরাম পেতে চাইলে বরফ চেপে ধরুন। সুতির কাপড়ে বরফ মুড়ে ত্বকের উপর লাগাতে পারেন। ত্বকের উপর সরাসরি বরফ ঘষা ঠিক নয়। এছাড়া,ঠান্ডা পানিতে গোসল করে নিলে সবচেয়ে ভালো। ঠান্ডা ত্বকের প্রদাহ, ফোলাভাব, চুলকানি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে।
ওটমিল: ওটমিল পেটের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনই ত্বকের জন্যও। একজিমা, রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের নানা রোগ সারাতে ওটমিলের তুলনা নেই। ওটসের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়। বাড়িতে বাথটব থাকলে পানিরে সঙ্গে ১ কাপ ওটস মিশিয়ে দিন। ওই পানিতে ৩০ মিনিট বসে থাকুন। তারপর গোসল করে নিন। চাইলে ওটসের স্ক্রাব বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা: ত্বকের সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক অ্যালোভেরা। সেক্ষেত্রে অ্যালোভেরার গাছ থেকে পাতা কেটে নিন। এর মধ্যে যে জেল আছে সেটি ত্বকের উপর লাগান। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
নারকেল তেল: ত্বক ও স্ক্যাল্পে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করা বেশ উপকারী। এই তেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বককে চুলকানির হাত থেকে মুক্তি দেয়। ভার্জিন কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। রোজ গোসলের সময় নারকেল তেল মাখতে পারেন। এতে ত্বক ভালো থাকবে।
Posted ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter