নিউ ইয়র্কে আমেরিকা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড আর্কিটেক্টসের (আবিয়া) এর পিঠা উৎসব। জলি আহমেদ: সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পিঠা উৎসব বাংলাদেশের ঐতিহ্যের একটি অংশ। শীতকালে গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে হরেক রকমের পিঠার আয়োজন হয়ে থাকে।শুধু বাংলাদেশ নয়, এখন সুদূর প্রবাসে থেকেও বাঙালিরা পিঠা উৎসব আয়োজন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জ্যমাইকায় গত ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার ২০২৪ এ প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের ও ওইন্টার সেলিব্রেশন এর আয়োজন করেছে আমেরিকা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড আর্কিটেকচার (আবিয়া)।এতে পরিবার সহ অংশ নেন আবিয়া এর সদস্য রা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আবিয়ার হলো বাংলাদেশে যারা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের একটি সংগঠন। এই সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি স্টেটে আছে। নিউ ইয়র্কে চ্যাপ্টারের এটিই ছিলো প্রথম আয়োজন ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এস কে আমজাদ হোসাইন এবং প্রেসিডেন্ট ইলেক্টেট মো. সাজেদুল মোনায়েম খান । অনুষ্ঠান সফল করতে সহযোগিতা করেন কালচার সেক্রেটারি আরিফ আহমেদ অর্ণব সহ সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম,সুজিত সাহা,ট্রেজারার নুরুল হক,নজরুল ইসলাম এবং মো. বেলাল হোসাইন। এছাড়া আরও ছিলেন আবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. সাদেক, ২০২১-২২ কমিটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুস সালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হকসহ আবিয়ার বর্তমান ও সাবেক সদস্যরা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশের সুপরিচিত অভিনেতা সাইদ বাবু , শান্তনু ও শারমিন। এই উৎসবে শুধু যে পিঠা ও ডিনারের আয়োজন ছিল তা কিন্তু নয়, ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরমধ্য নাচ-গান, কবিতা আবৃত্তি ও নাটকসহ নানা আয়োজন ছিল। এছাড়া ছিল রাফেল ড্র। পিঠা উৎসব সম্পকে প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এস কে আমজাদ হোসাইন বলেন,”এমন আয়োজনের মাধ্যমে প্রবাসের মাটিতে বাংলার সংস্কৃতিকে দারুণভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং তা পরবতী প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে সহযোগীতা করে” এবং কালচার সেক্রেটারি আরিফ আহমেদ অর্ণব বলেন ,”সকলের প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝেও খুব অল্প সময়ের দেশিয় সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবের আয়োজন খুব সুশৃঙ্খল ছিলো”।উৎসবটি যেন প্রবাসীদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। ছোট ছোট বাচ্চারা বেশ উপভোগ করে এ অনুষ্ঠান। আয়োজকরা জানান, মূলত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম যেন বিদেশের মাটিতে থেকেও দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা হয়ে থাকে এসব অনুষ্ঠান।এমন আয়োজন ভবিষ্যতে আরও সুন্দরভাবে করার কথা জানান আয়োজকরা।