
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 165 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনগুলো তদারকি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ অডিটোরিয়ামে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ বিষয়ক একটি সেমিনারে এ নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া মঙ্গলবারের মধ্যে সব ক্যান্টিনে মূল্য তালিকা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
সেমিনারে এএইচএম সফিকুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানটিন ও ডাইনিংগুলোতে সাধারণ তদারকি করার আগ্রহের কথা জানান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার প্রস্তাব দেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। আইনটি ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সে বিষয়েও একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন তিনি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম। এতে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অংশগ্রহণকারীদের ভোক্তা-অধিকার আইন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এরপর উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ফ্রি দেয়। এছাড়া স্পেসের জন্য নামমাত্র ভাড়া নেওয়া হয়। এত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও ক্যান্টিনে তারা ভালো খাবার পান না। দামও অনেক বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় খাবারে পোকা মাকড় পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও ব্যবস্থা নেয় না।
এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে ক্যান্টিনের এক মালিক বলেন, ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতারা খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। ফলে তাদের লস হয়। এ ছাড়া জিনিসপত্রের দামও অনেক বেশি, তাই তাদের দাম বেশি রাখতে হচ্ছে।
Posted ২:১৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Stuff Reporter