রাজনীতি ডেস্ক | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট | 71 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
একজন শিক্ষক যে কতটা মিথ্যাবাদী হতে পারেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে না দেখলে বুঝতাম না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেছেন, ফখরুল শিক্ষক মানুষ, কিন্তু তিনি যে ২১ শে আগস্ট নিয়ে চরম মিথ্যাচার করেছেন এটা মূর্খতা ছাড়া আর কিছু না। শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা কিন্তু সেই পেশাকে ফখরুল মিথ্যাচারের রূপ দিতে চাচ্ছেন। তার এ মিথ্যাচারে কোনো লাভ হবে না কারণ ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার চার্জশিটে তাদের নেতাদের নামই এসেছে। সে চার্জশিট তো আওয়ামী সরকার দেয়নি। তাদের নেতাদের জবানবন্দির আলোকেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যার অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বর্তমান সময়ে অনেকেই জিয়াকে খুনি বলে আখ্যায়িত করতে দ্বিধা বোধ করেন। কিন্তু ইতিহাস তো পরিষ্কার যে জিয়াই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত খুনি। খুনি জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী-রাজাকারদের স্থান দিয়েছিল মন্ত্রীসভায়। শুধু তাই নয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার আইন করে বন্ধ করার অপচেষ্টা করেছেন। এতে কি প্রমাণ হয় না জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন? প্রকৃতপক্ষে খুনি জিয়াই বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত খুনি ছিলেন।
জিয়া ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মবেশ ধারী পাকিস্তানের এজেন্ট। তিনি যে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিল, তা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে তার কর্মকাণ্ডে প্রকাশ পেয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, তারেক রহমান যদি বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসে তাহলে দেশের যে কী অবস্থা হবে তা আমরা বুঝতেই পারছি। শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল একত্রিত হয়ে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। যদি কোনোভাবে বিরোধী শক্তি সাদাদল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তাহলে আমাদের টিকে থাকা হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের দেশকে পিছিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র চলছেই। পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিল তারা এখনও রাজনীতির বিভিন্ন অঙ্গনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আগামী নির্বাচনকে নিয়ে তারা নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। এ ষড়যন্ত্রের মাত্রা সামনের দিনগুলোতে আরও বেড়ে যাবে সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে ছিলেন নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড.জাকারিয়া মিয়া ও অধ্যাপক ড. আশরাফ উল আলম। এছাড়া প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেফতাহুল হাসান, নীলদলের দপ্তর সম্পাদক বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব শাহ মো. আরিফুল আবেদ ও নীলদলের সদস্য শামীমা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নীলদলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোমিন উদ্দীন। এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও বিভাগের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ২:৪৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter