আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোমবার, ১২ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট | 81 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্তমানে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস, ঘূর্ণিঝড় ও দাবানল অন্যতম। তবে দাবানলকে বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, দাবানলের আগুন নেভানো কঠিন।
দাবানল হচ্ছে বনভূমি বা বনাঞ্চলে সংঘটিত অনিয়ন্ত্রিত আগুন। উত্তপ্ত বা শুষ্ক আবহাওয়ায় বনাঞ্চলসমৃদ্ধ যে কোনো স্থানেই দেখা দিতে পারে দাবানল। পাহাড়ি অঞ্চলে দাবানল কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।
সাধারণত শুষ্ক বনভূমি বা ঝোপঝাড়পূর্ণ এলাকা থেকে দাবানলের সূত্রপাত হয়। প্রাকৃতিকভাবে সাধারণত দুটি উপায়ে দাবানল শুরু হতে পারে। প্রথমত, যদি কোনো শুষ্ক বনভূমির ওপর বজ্রপাত হয়। দ্বিতীয়ত, কোনো আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত লাভা অথবা বিভিন্ন পদার্থের জ্বলন্ত টুকরা থেকে। এর পর সেটি পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুসারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণেও দাবানল সৃষ্টি হয়। গবেষকরা দাবানল সৃষ্টির কারণ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে কয়েকটি প্রভাবের কথা বলেছেন। যেমন, দীর্ঘদিন ধরে অধিক তাপমাত্রা, তুলনামূলক কম আর্দ্রতা, বজ্রপাতের আধিক্য, খরা এবং অধিক পরিমাণ পুরোনো ও শুষ্ক বনভূমির উপস্থিতি একটি অঞ্চলে দাবানলের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
দাবানলকে অল্প কথায় ‘অপ্রতিরোধ্য’ ও ‘সর্বগ্রাসী’ শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা যেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে দাবানল ঠেকানোর তেমন কোনো উপায় নেই। দাবানলের হাত থেকে বাঁচতে হলে উপদ্রুত এলাকার মানুষ ও মূল্যবান সামগ্রীগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যেহেতু দাবানলের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষই দায়ী, তাই সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি রোধ করা সম্ভব।
এদিকে কানাডায় চলমান দাবানল আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। একই সঙ্গে নতুন ও তীব্রতর এই দাবানল কানাডাজুড়ে আরও হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে।
কানাডার একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, চলমান এই দাবানল ‘পুরো গ্রীষ্মজুড়ে’ চলতে পারে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
Posted ১:১৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter