রাজনীতি ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 166 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি অপরাধ দমন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশে দেশে ডিজিটাল আইন প্রণীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কাউকে হয়রানি কিংবা ভিন্নমত দমন এই আইনের লক্ষ্য নয়। বিএনপি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেই তারা রাজনৈতিকভাবে এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এসব বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন। আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিল, তখন সেটা গণদাবি ও সময়ের দাবি ছিল। তিনি বলেন, গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতেই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরে বিএনপি জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তা বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করেছিল। তাদের সেসব অপতৎপরতা বিচার-বিশ্লেষণ করেই আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার ও সুদীর্ঘ সময় সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও প্রগতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেনাতন্ত্রের সীমানা পেরিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা জনগণকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, আজ তা দৃশ্যমান বাস্তবতা।
Posted ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter