ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 268 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সরকারের উদ্যোগ ডিজিটাল সেন্টার ১৩ বছরে পদার্পণ করেছে। ‘জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা’ স্লোগানে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র নামে চালু হওয়া ডিজিটাল সেন্টারের গতকাল ছিল ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয় থেকে এবং নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক ভোলা জেলার চর কুকরিমুকরি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্বোধন করেন। এক যুগের ব্যবধানে ডিজিটাল সেন্টার হয়ে উঠেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। ডিজিটাল সেন্টারের তদারককারী সংস্থা আইসিটি বিভাগের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, দেশজুড়ে এখন ৮ হাজার ৪৬৮টি ডিজিটাল সেন্টারে তিন শতাধিক সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এখানে প্রায় ১৬ হাজার উদ্যোক্তা কর্মরত। ডিজিটাল সেন্টার থেকে ইতোমধ্যে ৬২ কোটি টাকারও বেশি সেবা দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সেন্টারের যুগপূর্তি উপলক্ষে গতকাল আইসিটি টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এটুআই।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা। তাঁরা অফলাইন থেকে অনলাইনে, গ্রাম থেকে শহরে এবং দেশ থেকে বিদেশে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাফল্যের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁদের ভূমিকা রাখতে হবে। উদ্যোক্তাদের আরও স্মার্ট ও যুগোপযোগী হতে হবে। এ জন্য উদ্যোক্তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়াতে ‘হার পাওয়ার’ শীর্ষক প্রকল্প থেকে নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ডিজিটাল সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ প্রকল্পের আওতায় ২০ হাজার টাকা সিড মানি দেওয়া হবে।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক বলেন, ডিজিটাল সেন্টারকে স্মার্ট করে তুলতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নতুন নতুন সেবা যুক্ত করে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেওয়া হবে। নারী উদ্যোক্তারা যাতে সক্রিয় থাকতে পারেন, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শের আলী, আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নিউইয়র্ক থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এটুআই পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারাও অংশ নেন।
Posted ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
nykagoj.com | Stuff Reporter