
প্রযুক্তি ডেস্ক | রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 158 বার পঠিত
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে তিন দিনের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’। গতকাল ছুটির দিনে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর ছিল ইন্টারনেটনির্ভর প্রযুক্তি ও সেবার এ প্রদর্শনী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে মেলার আয়োজন সহযোগী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। মেলায় টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটক তাদের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। মেলায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্যাভিলিয়ন থেকে নেওয়া যাচ্ছে পছন্দের অপারেটরের ‘গোল্ডেন নম্বর’। তবে এ ধরনের নম্বর আগ্রহী গ্রাহকের তুলনায় কম থাকায় ফরম পূরণ সাপেক্ষে লটারিতে অংশ নিতে হচ্ছে। লটারি বিজয়ীদের দেওয়া হচ্ছে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত নম্বর। মেলায় শীর্ষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদেরও প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে।
মেলা থেকে বিশেষ ছাড়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। হার্ডওয়্যার পণ্য নির্মাতাদের মধ্যে ওয়ালটন, টেশিস ও ভিসতা তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তির টেলিভিশন ও ল্যাপটপ প্রদর্শন করছে। টেশিসের স্টলে মিলছে সর্বনিম্ন ২৮ হাজার টাকা দামের ল্যাপটপ। মেলার টাইটেনিয়াম স্পন্সর হুয়াওয়ে ৫.৫জি, এন্টারপ্রাইজ বিজনেস সলিউশন, হুয়াওয়ে ক্লাউড ও ডিজিটাল পাওয়ার, ডিজিটাল হেলথ ও ডিজিটাল এডুকেশনের মতো নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও সেবা প্রদর্শন করছে। মেলায় হুয়াওয়ে ক্লাউড সেবা নিতে আগ্রহী গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে ২০ শতাংশ ছাড়। মেলায় এক্সপেরিয়েন্স জোনে ভিআর হেডসেটে গেমিং এবং ভার্চুয়ালি অজানা স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেওয়া যাচ্ছে। কোনো কোনো স্টলে দেখানো হচ্ছে রোবট। মেলায় রয়েছে প্রিয় কোনো পর্যটন স্থানকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে ছবি তোলার সুযোগ। এ ছবি আবার তাৎক্ষণিক প্রিন্ট করেও দেওয়া হচ্ছে। এক্সপেরিয়েন্স জোনে ভার্চুয়ালি উপভোগ করা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর। কিউআর কোডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কিত বইও ডাউনলোড করে নেওয়া যাচ্ছে।
গতকাল বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও ফাইভ জি অবকাঠামো, দুর্যোগকালীন টেলিযোগাযোগ খাত, ডাটা সায়েন্স, রোবটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে ডিজিটাল পরিবর্তন বিষয়ে চারটি পৃথক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ, রবির সিইও রাজীব শেঠি, ফাইভার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী, হুয়াওয়ের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা মা জিয়ান প্রমুখ।
আজ শেষ দিনে দুটি সেমিনার ও সমাপনী আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। বিনামূল্যে প্রবেশযোগ্য মেলা সকাল ৯টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলার আয়োজন সহযোগী আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, এবারের আয়োজনে দর্শক আগ্রহ দেখে আমরা সত্যিই অভিভূত। এবারের মেলায় তরুণ উদ্ভাবকদের নিয়ে আমরা প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছি। এখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবকরা তাঁদের প্রজেক্ট প্রদর্শন করছেন। মেলায় আগতদের ভোটে সেরা তিন উদ্ভাবনকে পুরস্কৃত করা হবে। এবারের মেলার বিশেষত্ব হচ্ছে, মেলা আয়োজনে বাজেট ৫ কোটি টাকার মতো হলেও ভেন্যু ভাড়া ছাড়া সরকারের কোনো অর্থ খরচ হয়নি। পুরো টাকাটাই আমরা স্পন্সর থেকে সংগ্রহ করেছি।
Posted ১:৩১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter