শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

ডেস্ক রিপোর্ট   |   বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২   |   প্রিন্ট   |   125 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

‘স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেটা সল্যুশন ও সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নেটঅ্যাপ। ডেটা ম্যানেজমেন্ট, ডেটা সেন্টার সল্যুশন, ক্লাউড ডেটা স্টোরেজ, হার্ডওয়্যার সল্যুশন ও সার্ভিস দিয়ে নেটঅ্যাপ এখন খুব পরিচিত নাম। সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন নেটঅ্যাপ ইন্ডিয়া মার্কেটিং অ্যান্ড সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পুনিত গুপ্ত। কথোপকথনে তিনি জানিয়েছেন নেটঅ্যাপ নিয়ে আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা।

নেটঅ্যাপের যাত্রা ও ব্যবসার মূল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাই।

পুনিত গুপ্ত: নেটঅ্যাপ অনেক পুরাতন একটা কোম্পানি, যার বয়স ৩০ বছর। চলতি বছর আমরা নেটঅ্যাপের ৩০ বছর উদযাপন করছি। বলতে গেলে নেটঅ্যাপ সবকিছুর শেষে একটা ডেটা স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান। প্রখ্যাত বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের মতো প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিতে আমরা এখন শীর্ষ ডেটা প্রতিষ্ঠান।

গত ৩০ বছরে আমাদের যাত্রাটা হচ্ছে, ডেটা স্টোরেজের অনেক উদ্ভাবন। এর মধ্যে কোম্পানির সবচেয়ে বড় একটি মুভমেন্ট হয়েছে গত চার-পাঁচ বছরে। যাকে বলা যায়, ডেটা স্টোরেজ অন দ্যা ক্লাউড বা ক্লাউডে ডেটা পরিচালনা করা। আইটি শিল্প এখন বিশ্বব্যাপীই ক্লাউডে চলে গেছে। সেই সঙ্গে গ্লোবালি ক্লাউড অপশনটি এখন তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সত্যি বলতে, হাইব্রিড ক্লাউডই গ্রাহককেন্দ্রীক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ। ফলে এখন বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ক্লাউড হাইব্রিড মোডে চলে গেছে। তারা চলে গেছে ক্লাউডে এবং সেই সঙ্গে চলে গেছে ডেটা সেন্টারে। আমরা এখন বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নেটঅ্যাপ পরিচালনা করছি। আমাদের বার্ষিক রাজস্ব ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা আসলে নেটঅ্যাপকে ডাকি ডেটা স্টোরেজের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে।

বাংলাদেশে নেটঅ্যাপের অফিস স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা আছে কী?

পুনিত: আমরা বাংলাদেশের বাজারে আছি তাও কমপক্ষে ১৭-১৮ বছর ধরে। এরমধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের উপস্থিতি আসলে আমাদের পার্টনারদের মাধ্যমে। বছরখানেক আগে বাংলাদেশে আমাদের বিনিয়োগ হয়েছে। প্রথম বিনিয়োগটি হয়েছে তেজওগাঁওয়ে একটি স্পেয়ার ডিপো স্থাপনের মাধ্যমে। স্পেয়ার ডিপো স্থাপনের এই ধারণাটি আসে গ্রাহকদের জন্য। যদি দেশে নেটঅ্যাপ গ্রাহকদের হার্ডওয়্যার সিস্টেমে কোনো সমস্যা হয় তবে স্পেয়ার ডিপো থেকে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের সব সল্যুশন দেয়া হয়। এটা বাংলাদেশে আমাদের প্রথম বিনিয়োগ। সে সঙ্গে আমরা এখানে স্থানীয়ভাবে আমাদের প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে আরও লোক নিয়োগের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। কর্মী বাড়লে বাংলাদেশে আমাদের অফিসও চালু হবে।

স্পেয়ার ডিপো থেকে কীভাবে কোন ধরনের সেবা বা সল্যুশন পাবেন গ্রাহকরা?

পুনিত: যেকোনো বড় এন্টারপ্রাইজের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই হচ্ছে স্টোরেজ। আমাদের স্পেয়ার ডিপো চালু করার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, কাজ করতে গিয়ে যদি সিস্টেমে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সেই স্পেয়ার ডিপো থেকে তা চার ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সল্যুশন দেয়া হয়। যদি অন্য কোনো দেশ থেকে স্পেয়ার পার্টস আনতে হতো তাহলে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যেত। এখন খুব সহজে কয়েক দিন নয়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেবা পান গ্রাহকরা। আর এর মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা আরও কনফিডেন্ট হয়ে উঠছেন, তাদের ২৪/৭ দিন সেবা চালুর বিষয়ে।

নেটঅ্যাপ কীভাবে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিল্পে অবদান রাখার পরিকল্পনা করেছে?

পুনিত: নেটঅ্যাপ হচ্ছে ডেটা ব্যবস্থাপনার ব্যবসা। অসংখ্য ডেটা সবসময় তৈরি হচ্ছে, আর কোনো একটি দেশের জন্য ডেটা ম্যানেজ করা অপরিহার্য। আমি মনে করি, আমরা বাংলাদেশের আইসিটি যাত্রায় সরকার, ব্যাংক, টেলকো এবং এন্টারপ্রাইজগুলোকে তাদের ডেটাকে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করার, তাদের জন্য ডেটা মনিটাইজ করা এবং সিটিজেন সার্ভিস, কনজ্যুমার সার্ভিসের জন্য সেটি দিতে সহায়তা করি।

নিশ্চয় আপনি বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ সম্পর্কে জানেন, সে বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

পুনিত: ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এই যুগে ডিজিটাল অবকাঠামো একটি দেশের জন্য মেরুদণ্ড-তুল্য। অনেক গবেষক ও বিশ্লেষকরা বলেছেন, বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে তরুণদের একটি দেশ। তাই তারা যেকোনো অসাধ্য সাধন করতে পারে। আর এই অগ্রযাত্রায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নেটঅ্যাপের পরিষেবাগুলো কীভাবে বাংলাদেশকে তার ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে?

পুনিত: ডিজিটাল প্রবৃদ্ধির বিভিন্ন দিক আছে। আমাদের মতো কোম্পানি এক্ষেত্রে যা করছে সেটি হচ্ছে, সরকার, বিভিন্ন কোম্পানিকে তাদের ডেটার ক্ষমতা ও অধিকার ধরিয়ে দিতে সহায়তা করছে। এটি আমাদের সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কনজ্যুমার ডেটার ক্ষেত্রে। ডেটা আসলে তেল বা জ্বালানির মতোই একটা মূল্যবান সম্পদ। আর সেই মূল্যবান সম্পদের সব ধরনের ব্যবস্থাপনা করতেই আমরা নিয়ে এসেছি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সার্ভিস-সল্যুশন।

Facebook Comments Box

Posted ১:৫৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com