শনিবার ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, তারপরও কম: তথ্যমন্ত্রী

রাজনীতি ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   136 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, তারপরও কম: তথ্যমন্ত্রী

মূল্যবৃদ্ধির পরও অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম কম বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকরা মূল্যস্ফীতি ও বিদ্যুতের মূল্য ৫ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ দাবি করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি যুক্তরাজ্যে অনেক আগেই একশ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও এই মূল্যবৃদ্ধি ২০ থেকে একশ শতাংশ। যেমন- জার্মানিতে ২১ শতাংশ, আবার বেলজিয়ামে ৯৫ শতাংশ। সেই তুলনায় আমাদের দেশে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অনেক কম। সাম্প্রতিক সময়ে ৫ শতাংশ হারে দুইবার বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের ইউনিট মূল্য বাংলাদেশে সাত টাকা ৩২ পয়সা, ভারতের দিল্লীতে ১১ টাকা ১৫ পয়সা, মহারাষ্ট্রে ১১ টাকা ৩৩ পয়সা, পাঞ্জাবে আট টাকা ৬৩ পয়সা। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ টাকা ৩১ পয়সা, জার্মানিতে ৪১ টাকা ৯৩ পয়সা, বেলজিয়ামে ৪৬ টাকা ৪৬ পয়সা, জাপানে ২৫ টাকা ৭৪ পয়সা। জাপানসহ অন্য দেশের কথা বাদ দিলাম, ভারতের তুলনায়ও আমাদের বিদ্যুতের মূল্য কম।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি, কোনো কোনো দেশে সেটি ২০-২২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে সার্বিক মূল্যস্ফীতি অনেক আগেই ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। রাশিয়াতে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, তুরস্কে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত গিয়েছিল, বর্তমানে সেটি প্রায় ৬০ শতাংশ। পাকিস্তানে ৩২ শতাংশ আর আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে সাড়ে আট শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ ও আশপাশের দেশের তুলনায়ও আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি কম।

তিনি আরও বলেন, অথচ বিরোধীদল বিএনপি পৃথিবীর মানচিত্রের এই তথ্যগুলো মানুষের সামনে আড়াল করে ও মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়। এমনকি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে দুর্নীতিকে যুক্ত করার চেষ্টা করে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হয়েছিলেন এখন প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় জেলখানার পরিবর্তে ঘরে অবস্থান করছেন। আর দুর্নীতির কারণেই বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের কারণে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজাপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়ার আরেক পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশে পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। এভাবে যাদের সারা গায়ে দুর্নীতির গন্ধ, তারা যখন দুর্নীতির কথা বলে তখন তাদের গায়ের দুর্নীতির দুর্গন্ধই শুধু ছড়ায় অন্য কোনো কিছু নয়।

Facebook Comments Box

Posted ১:০৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com