
জাতীয় ডেস্ক | শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | প্রিন্ট | 39 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
গ্যালারি কায়া। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের চিত্রকলার বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করছে এ শিল্পগৃহ। নবীন-প্রবীণের সেতুবন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল উদাহরণ। সেই গ্যালারি কায়াই মনোমুগ্ধকর শিল্পপ্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে এবার উদযাপন করছে ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন হলো ‘২১তম বর্ষপূর্তি প্রদর্শনী’। এতে স্থান পেয়েছে দেশের ৩৫ খ্যাতিমান আধুনিক ও সমসাময়িক চিত্রশিল্পীর ৬৮টি মননশীল শিল্পকর্ম। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন দেশের বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
প্রদর্শনীর বৈচিত্র্য নজরকাড়া। দেয়ালজুড়ে যেমন রয়েছে কামরুল হাসানের ১৯৮৭ সালের সাদাকালো শিরোনামহীন চিত্র, তেমনি রয়েছে মুর্তজা বশীরের ২০১২ সালে আঁকা ‘নারী’ শিরোনামের চিত্রকর্ম। দুই ভিন্ন সময়ের দুই প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর কাজ একসঙ্গে দেখে দর্শক মুগ্ধ হয়ে পড়েন।
দর্শনার্থীদের চমকে দিতে আরেকটি চিত্রকর্ম হলো কাজী আব্দুল বাসেতের ১৯৯৪ সালে ভেতর দিয়ে শিল্পের এক চলমান কথন তুলে ধরে।
এই ২১ বছরের যাত্রায় গ্যালারি কায়া কেবল প্রদর্শনীর আয়োজনই করেনি, বরং শিল্পকে ঘিরে গড়ে তুলেছে এক ধরনের পরিশীলিত ও সহমর্মী পরিবেশ। শিল্পী রঞ্জিত দাস বলেন, গ্যালারি কায়া নবীন শিল্পীদের যেমন জায়গা দিয়েছে, তেমনি প্রবীণ ও কিংবদন্তি শিল্পীদেরও প্রাপ্য মর্যাদায় স্থান দিয়েছে। এ ভারসাম্যই কায়াকে আলাদা করেছে অন্যদের থেকে।
প্রদর্শনীর সমন্বয়ক রাজেন জেন বলেন, শিল্পের ভাষা সময়ের চেয়ে বড়। সেই ভাষাকে ধারণ করে গ্যালারি কায়া ২১ বছর ধরে যে শিল্পভুবনের বিস্তার ঘটিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ প্রদর্শনী শুধু একটি গ্যালারির বর্ষপূর্তিই নয়, এটি একান্তভাবেই দেশের শিল্পচর্চার এক অনন্য উদযাপন।
প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন দেশের বরেণ্য শিল্পীরা। তাদের মধ্যে আছেন– আব্দুস শাকুর শাহ, আবুল বারক আলভী, হামিদুজ্জামান খান, হাশেম খান, কনকচাঁপা চাকমা, কাজী আব্দুল বাসেত, মুর্তজা বশীর, রঞ্জিত দাস প্রমুখ। তাদের চিত্রকর্ম এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে– তেলরং, অ্যাক্রেলিক, জলরং, চারকোল, কালি ও কলম, মিশ্র মাধ্যম, কাঠছাপ ও ক্যানভাস। প্রতিটি মাধ্যমেই উঠে এসেছে শিল্পীর নিজস্ব ভাষা ও চিন্তাজগতের প্রতিফলন।
২১ বছর পূর্তির এ বিশেষ প্রদর্শনী গ্যালারি কায়ার নিজস্ব প্রাঙ্গণে ১২ জুলাই পর্যন্ত চলবে। সব দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
Posted ৫:১১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
nykagoj.com | Stuff Reporter