
রাজনীতি ডেস্ক | শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ | প্রিন্ট | 36 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কোনোভাবে প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে যেতে দিতে চান না অভ্যুত্থানে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা ভাবছেন তারা। শুক্রবার এনসিপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন কথা জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনায় দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তিনি পদত্যাগের আলাপও তোলেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অফিশিয়ালি বক্তব্য দেননি এনসিপি নেতারা। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তারা দলের অভ্যন্তরে এনসিপির কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।
এনসিপির একাধিক নেতা জানান, তারা ড. ইউনূসকে যেতে দিতে চান না, রাখতে চান। এ জন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার কথা ভাবছেন।
এ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। অনেকে বিএনপিকে দায়ী করেছেন। আবার অনেকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কথা বলেছেন।
এনসিপির যুব শক্তির প্রধান তারিকুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনার নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে অপসারণ করলে সমস্যা। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনুস পদত্যাগ করলে সমস্যা নেই, তার বিকল্প খুঁজে পাওয়া যাবে। এই হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিএনপি।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এক-এগারোর জুজু দেখিয়ে বলা হলো দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে নাহলে দেশে আরেকটা এক-এগারো নেমে আসবে। এখন যেনতেন কায়দায় একটা নির্বাচন আয়োজন করার কুমতলবে এক-এগারো ঘটানোর পাঁয়তারা চলছে। অবিশ্বাস্য শঠতা আর ধূর্ততা।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ড. ইউনূসকে জনগণকে দেওয়া সংস্কার, বিচার ও ভোটাধিকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। ওনাকে দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
ফেসবুক পোস্টে নিজেদের দাবিগুলোও তুলে ধরেছেন নাহিদ ইসলাম। দাবিগুলো হলো, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দিতে হবে, ঘোষিত টাইম ফ্রেমের (সময়সীমা) মধ্যেই নির্বাচন হবে, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের জুলাই সনদ রচিত হবে, নির্বাচনের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হবে ও বিচারের রোডম্যাপ (রূপরেখা) আসতে হবে এবং নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন একই সঙ্গে দিতে হবে।’
Posted ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
nykagoj.com | Stuff Reporter