রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ নেই মোদির টুইটে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   81 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ নেই মোদির টুইটে

বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি কোন কোন দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন সে তথ্যও জানিয়েছেন। তবে সেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ নেই।

আজ সকাল ৭টা ৭ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) বিমসটেক সম্মেলনে নির্ধারিত বৈঠকের কথা জানান। মোদি সেখানে লিখেন, ‘আগামী তিন দিন আমি থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা সফর করব। এ সময় থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা এবং বিমসটেকে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেব।’

তিনি আরও জানান, ‘আজ ব্যাংককে আমি দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দেখা করব এবং ভারত-থাইল্যান্ড বন্ধুত্বের পূর্ণাঙ্গ পরিসর নিয়ে আলোচনা করব। আগামীকাল আমি বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেব এবং রাজা মহা ভাজিরালংকর্নে সঙ্গেও দেখা করব।’

এর আগে গত বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানান। তিনি বলেন, বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে সরকারপ্রধানদের বৈঠক সুবিধাজনক সময়ে হয়ে থাকে। বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের নেতাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা। আশা করা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে। আমাদের আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত বৈঠক না হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু বলব না।

তিনি জানান, বিমসটেক সম্মেলনের শেষ দিনে শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রধান উপদেষ্টা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। আগামী দুই বছরের জন্য এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি চীন সফরের সময় ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, ‘কানেকটিভিটি এ অঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে, বিশেষ করে যাদের জন্য সমুদ্রে যোগাযোগ খুব কঠিন। আমরা কানেকটিভিটি জোর করে চাপিয়ে দেব না, সেটি করার মতো অবস্থাও আমাদের নেই। কেউ যদি নেয় খুব ভালো, না নিলে কী করব আমরা, কিছু করার নেই। প্রধান উপদেষ্টা এ কথা আগেও বলেছিলেন। অত্যন্ত সৎ-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা যদি অন্য রকম দেওয়া হয়, আমরা সেই ব্যাখ্যা ঠেকাতে পারছি না। আমরা শুধু সবার সমান লাভের জন্য কানেকটিভিটি দিতে আগ্রহী আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ২০১২ সালে একই ধরনের কথা বলেছিলেন। এর চেয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশকে একটা ভ্যালু চেইনে আবদ্ধ করা যেতে পারে। তিনি একক অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথাও বলেছিলেন। এটিকে বিগ বে ইনিশিয়েটিভ বলে গণ্য করা হয়।’

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে অনেক দেশের সঙ্গে অনেক কথাই হয়। সব কথা আমরা বলতে পারি না। এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’ এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

Posted ৯:১০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com