রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ সময়ে ভিড় থাকলেও দুর্ভোগ কম

জাতীয় ডেস্ক   |   রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   47 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

শেষ সময়ে ভিড় থাকলেও দুর্ভোগ কম

শেষ সময়ের ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সড়ক, রেল ও নৌপথে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ। আজ রোববার ভোর থেকে সব পথেই মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। তবে সার্বিকভাবে দুর্ভোগের অভিযোগ কম আসছে।

সড়কপথে ধীরগতি ছাড়া অন্য কোনো অভিযোগ নেই

রোববার বিভিন্ন গন্তব্যে ঈদযাত্রায় মানুষ ভিড় করছেন গাবতলী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, মহাখালী ও শ্যামলীসহ ঢাকার বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও বাসস্ট্যান্ডে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। গত কয়েকদিনের মতো আজও বিপুল সংখ্যক মানুষ দূর-দূরান্তে ঈদ উদযাপনে যাচ্ছেন। পর্যাপ্ত পরিবহন ও বাস থাকায় স্বস্তির সঙ্গেই ঢাকা ছাড়তে পারছেন তারা। তবে নানা কারণে যানবাহনের ধীরগতিতে পথে কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

বেলা ১১টায় গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, গত ২০ বছরে ঈদযাত্রা এত স্বস্তির হয়নি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার স্বস্তির ঈদযাত্রা সম্ভব হয়েছে।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন বলেন, বিআরটিএ, সড়ক, মহাসড়ক বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ, মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ- আমরা সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করেছি; যাতে মানুষজন নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি টার্মিনালে ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। আমাদের ভিজিলেন্স টিম আছে। যেকোনো জায়গায় অতিরিক্ত ভাড়ার খবর আমরা পাচ্ছি; সেখানে পানিশমেন্ট হচ্ছে সবার। এমন কোথাও হয়নি যে পানিশমেন্ট হয়নি।

সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা গাবতলী বাস টার্মিনালের বিভিন্ন টিকিট কাউন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তবে কেউ তেমন কোনো অভিযোগ করেননি।

মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে জানা গেছে, সেখান থেকেও থেকে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন যাত্রীরা। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহাখালী টার্মিনালে আসছেন ঘরমুখো মানুষ। তারা নিজ নিজ গন্তব্যের বাস কাউন্টারের সামনে গিয়ে নির্দিষ্ট মূল্যে টিকিট কাটছেন। টিকিট কাটতে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে না। বাসের সব আসনের টিকিট বিক্রি হলে বাস নির্দিষ্ট গন্তব্যের রওনা দিচ্ছে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ রুটে বাস যাত্রী পরিবহন করে। এবার ঈদ মৌসুমেও এসব রুটে যাতায়াতে যাত্রীদের আগাম টিকিট কিনতে হয়নি। টার্মিনালে গেলেই টিকিট পাচ্ছেন যাত্রীরা। আবার কয়েকটি পরিবহনের টিকিটের জন্য খানিকটা সময় লাইনে দাঁড়াতে হলেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।

পরিবহন চালক এবং যাত্রীরা জানান, আগামীকাল সোমবার দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এবার ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আবার বেসরকারি চাকরিজীবীরাও তাদের পরিবারের সদস্যদের আগেই গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে টার্মিনালে যাত্রী চাপ কম। সবাই নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারছেন।

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ রুটে সবচেয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। এই রুটে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করে ইউনাইটেড ট্রান্সপোর্ট। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরিবহনের ৪২টি বাস নিজ গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।

দেখা যায়, প্রতি ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে ইউনাইটেড ট্রান্সপোর্টের একটি বাস যাত্রী পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ রুটে নন-এসি বাসে ৩১০ টাকা এবং এসি বাসে ৪০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঈদের আগেও এই রুটে একই ভাড়া ছিল বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। আর ঈদ উপলক্ষে ভাড়া না বাড়ানোয় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তারা।

ময়মনসিংহ সদরে যাওয়ার জন্য ইউনাইটেড ট্রান্সপোর্টের এসি বাসের টিকিট কাটেন যাত্রী আবু সাঈদ। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ের মতোই কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কেটেছি। টিকিটের মূল্য আগের মতোই রাখছে। তবে এসি বাসের সংখ্যা কম থাকায় আধাঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস চলে আসবে। আশা করি, এবারের ঈদ যাত্রাটা স্বস্তির হবে।

ইউনাইটেড ট্রান্সপোর্টের স্বত্বাধিকারী ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার যাত্রীরা স্বস্তিতে ঈদযাত্রা করতে পারছেন।

মহাখালীসহ ঢাকার সব টার্মিনালগুলোতে বাসের টিকিট কাটা নিয়ে কোনো জটিলতা নেই। পর্যাপ্ত যাত্রী হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাস টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে কোথাও যানজট নেই।

ঢাকা-বগুড়া-নওগা-ঢাকা রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করে একতা পরিবহন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী অন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ভবনের ভেতর টিকিট বিক্রি করছেন শহিদুল মিয়া। টিকিট কেটে কাউন্টারের সামনে বাসের অপেক্ষায় করছেন যাত্রীরা। মাহবুব আলম নামের এক যাত্রী জানান, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তার কাছ থেকে ৭০ টাকা বেশি ভাড়া রাখা হয়েছে। এ নিয়ে তেমন আপত্তি নেই। ঈদ মৌসুমে নিরাপদ।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় নেই। বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর ভিড় নেই। টিকিট নিয়েও নেই কাড়াকাড়ি। যাত্রীদের আনাগোনা থাকলেও তুলনামূলক কম। তবে মূল টার্মিনালের বাইরে সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে যাত্রীচাপ বেশি।

বাস মালিকরা আশা করছেন, আজ সায়েদাবাদ থেকে দুই হাজার বাস বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।

সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ২৬টি রুটে বাস চলাচল করছে। তবে ভাড়া বেশি। সাধারণ বাসে কুমিল্লার ভাড়া অন্যান্য সময় ২০০ টাকা হলেও এখন আড়াইশো থেকে ৩০০ টাকার কমে যাওয়া যাচ্ছে না। বরিশাল, পটুয়াখালী, দশমিনা রুটে চলাচলকারী বাস ভাড়া সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। তারা বলেছেন, পটুয়াখালীর ৬০০ টাকা ভাড়া এক হাজার ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ের একটি কাউন্টারের বিক্রয়কর্মী নাম প্রকাশ না করে বলেন, বরিশালের ভাড়া এখন ৭০০ টাকা নিচ্ছি। অন্যসময় এ ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন, আমরা কী করবো।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী সেন্টমার্টিন স্কয়ার পরিবহনের টিকেট বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, ভাড়া ৭০০ টাকা নিচ্ছি, অন্যান্য সময়েও একই ভাড়া নেওয়া হয়। এছাড়া টার্মিনালের বাইরে শ্যামলী, হিমাচল, নীলাচল, হানিফ জোনাকিসহ বিভিন্ন বাস কোম্পানির কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। যাত্রীর চাপ দেখা গেছে বায়তুল মামুর মসজিদের নিচের দোলা, টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস ও ইমাদ পরিবহনের কাউন্টারেও।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এম আর ট্রান্সপোর্টের মালিক শাহ আলম বলেন, যাত্রী পরিবহনের জন্য টার্মিনালে পর্যাপ্ত গাড়ি রয়েছে। যাত্রী মোটামুটি রয়েছে, তবে উপচেপড়া ভিড় নেই।

তিনি বলেন, বিগত যে কোনো ঈদের চেয়ে এবার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা ভিন্ন। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে এখান থেকে গন্তব্যে যেতে পারছেন। কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। মালিক শ্রমিকদের সমন্বয়ে আমরা ১০০ জনের মত স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়েছি। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশও কাজ করছে। আমরা মালিকরাও এখানে উপস্থিত থেকে কাজ করছি।

রেলে স্বস্তির ঈদযাত্রা

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে নির্ধারিত সময় রেববার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায় রংপুর এক্সপ্রেস। শুধু রংপুর এক্সপ্রেস নয়, প্রায় প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে৷ স্টেশনেও তেমন ভিড় নেই৷ ট্রেনে উঠতে চিরচারিত সেই হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলিও নেই। পাশাপাশি ছাদে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের চিত্রও চোখে পড়েনি।

আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আকবর হেসেন পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি ঈদে সবসময় ট্রেনে যাতায়াত করি। আগে কখনো কমলাপুর স্টেশনে এত সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখিনি। পৌনে ৯টায় স্টেশনে এসেছি৷ এসেই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ানো পেয়েছি। ব্যাগ-পত্র নিয়ে উঠে বসলাম। এখন দেখছি, ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে। একেবারে জাস্ট টাইম। বাসায় যাওয়ার আগেই খুশিতে মন ভরে গেলো।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, ঈদযাত্রার সপ্তম দিনে আজ রোববার সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে সব ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো শিডিউল বিপর্যয় নেই। এমনকি কমিউটার ও লোকাল ট্রেনগুলোও যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। শুধু কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনটি ১১ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে আজ।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের মতো আজও স্বস্তিতে যাত্রা করছে ঘরমুখো যাত্রীরা। সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে সারাদেশে গন্তব্যের উদ্দেশে ১৪টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। সেগুলোর কোনোটাতেই শিডিউল বিপর্যয় ছিল না।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৯টায় দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, পৌনে ১০টায় তিতাস কমিউটার, ১০টায় জামালপুর এক্সপ্রেস, সোয়া ১০টায় একতা এক্সপ্রেস এবং সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে গেছে। সবগুলো ট্রেন আগে থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রাখায় দেরি হয়নি।

সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া অন্য ট্রেনগুলো হলো- ধূমকেতু, পর্যটক, পারাবত, নীলসাগর, সোনার বাংলা, তিস্তা, মহানগর প্রভাতী, মিঠাপুকুর প্রভাতী, সুন্দরবন, মহুয়া, বুড়িমারী, কর্ণফুলী, রংপুর এক্সপ্রেস ও তিতাস কমিউটার।

সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে মোট ৫১টি ট্রেন সারাদেশে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্টেশন কতৃপক্ষ।

সদরঘাটে ভিড় কম

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে আজ সকাল থেকে নৌপথে ঘরমুখো যাত্রীরা আসছেন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন তারা। তবে ঈদে দীর্ঘ ছুটির কারণে আগেভাগে মানুষ ঢাকা ছাড়ায় রোববার যাত্রীদের ভিড় অনেকটাই কম দেখা গেছে। এছাড়া পদ্মা সেতু চালু ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসহ বিভিন্ন কারণে গত কয়েক বছরের মত এবারও মানুষের মধ্যে নৌপথে যাতায়াতে আগ্রহ কম দেখা গেছে। এরপরও বরিশালসহ কোনো কোনো নৌরুটের যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস। ফিরতি যাত্রীদের জন্য এই সার্ভিস চালানো হবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। স্বাভাবিক সময়ে যে সংখ্যক লঞ্চ চলাচল করে থাকে, তার অতিরিক্ত সংখ্যক লঞ্চ দিয়েই এই বিশেষ সার্ভিস চালানো হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত লঞ্চের সংখ্যা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক সমিতির কর্মকর্তারা।

ঢাকা-বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী পারাবত-২ লঞ্চের ম্যানেজার সুমন বলেন, মঙ্গলবার বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু হলেও প্রথম দুইদিন তেমন ভিড় দেখা যায়নি। এরপর ঈদের ছুটি শুরুর দিন বৃহস্পতিবার থেকেই মূলত যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। আজ এই ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি।

এদিকে ভোর থেকে পাটুরিয়া ঘাটে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। ফেরিতেও যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। তবে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি-লঞ্চ চলাচল করায় ও ঘাট এলাকায় যানজট না থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে নেমে দুর্ভোগ ছাড়াই গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ।

অন্যদিকে ঘাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকায় দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে কোনোপ্রকার যানজট বা ভোগান্তি নেই। এই নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

Facebook Comments Box

Posted ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com