
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 53 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপ শুরুর কথা থাকলেও, বেঁকে বসে ইসরায়েল। তারা দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন নয়, প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী। এ প্রস্তাব হামাস মেনে না নেওয়ায় মানবিক ত্রাণসহ গাজায় সব ধরনের পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।
ফলে টানা ১৬ দিন ধরে প্রয়োজনীয় উপকরণ থেকে বঞ্চিত গাজাবাসী রয়েছে চরম দুর্দশায়। ফুরিয়ে এসেছে পানি, খাবার ও ওষুধ। সোমবার এক সতর্কবার্তায় জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলছে, লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শিশু ‘বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে’। তাই ইসরায়েলের এই নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আলজাজিরা জানায়, সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে গাজার হাজার হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও ন্যূনতম স্যানিটেশনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চরম ক্ষুধার যন্ত্রণায় ধুঁকছে গাজার ১০ লাখ শিশু। এমন সংকটাপন্ন অবস্থায় গাজায় ‘শিশুদের জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে কিছু পানি ও বিদ্যুৎ প্রবেশ করতে দিতে হবে’ বলে আহ্বান জানান দেইর আল-বালাহ থেকে ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক এদুয়ার্দ বাইগবেদার। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে গাজার প্রধান পানি পরিশোধন কেন্দ্রটি পানি উৎপাদন করতে পারছে না। এরই মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীতে দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন। দুই দেশের এই পাল্টাপাল্টি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা জাহাজ চলাচলের ওপর হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের ওপর হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার এমন ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
অন্যদিকে রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুতি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে আক্রমণ চালিয়ে যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারাও লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে।
Posted ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
nykagoj.com | Stuff Reporter