রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিন্ময়ের গ্রেপ্তার ঘিরে সংঘাত, চট্টগ্রামে আইনজীবী নিহত

জাতীয় ডেস্ক   |   বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   34 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

চিন্ময়ের গ্রেপ্তার ঘিরে সংঘাত, চট্টগ্রামে আইনজীবী নিহত

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সংঘর্ষ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে চিন্ময় অনুসারীর এই সংঘাতের সময় চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) নিহত হয়েছেন। আহত হন অন্তত ২০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে।

সোমবার ঢাকায় গ্রেপ্তার চিন্ময়কে গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে কড়া নিরাপত্তায় গতকাল আদালতে আনার পর থেকেই সেখানে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের কয়েক জেলায় চিন্ময়ের অনুসারীরা বিক্ষোভ করেছেন। এদিকে আইনজীবী আলিফ হত্যার বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। এ ঘটনায় আজ আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি। ঢাকা ও চট্টগ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আইনজীবী নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পেছনে দেশের ভেতরে-বাইরের ইন্ধন থাকতে পারে। গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে, দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে আজ বুধবার দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্প্রীতি সমাবেশ করবে সংগঠনটি। চট্টগ্রামে হত্যাকাণ্ড ও নাশকতায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল সন্ধ্যায় সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি জানানো হয়।

হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এক বিবৃতিতে আলিফকে ‘প্রিয় দলীয় সহকর্মী’ উল্লেখ করে তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। আরেক বিবৃতিতে হত্যায় জড়িত ইসকনের কর্মী-সমর্থকদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান।

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, আদালত থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়কে আইনজীবী আলিফের ওপর হামলা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁকে হত্যা করা হয়। আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে শত শত ভক্ত চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজনভ্যান তিন ঘণ্টা আটকে রেখে তাঁর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ, সোয়াট ও বিজিবি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে চিন্ময়কে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।

চিন্ময় সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত থেকে নিচে নামার সময় সড়কের দু’পাশে থাকা বেশ কিছু গাড়ি, আইনজীবীর চেম্বার ও দোকান ভাঙচুর করে। বিকেল ৪টার দিকে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে প্রধান সড়কে চিন্ময় সমর্থকদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ আইনজীবী ও জনতার সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আইনজীবী আলিফকে এলোপাতাড়ি কোপানো হলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে আদালতের একদল আইনজীবী ফের বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়ে ছয়জন চিন্ময় অনুসারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা হলেন শ্রীবাস দাশ, শারকু দাশ, ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল ও এনামুল হক।

৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে আটক করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে সড়কপথে চট্টগ্রাম আদালতে নেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময়সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে সনাতনীদের আন্দোলন ইস্যুতে চিন্ময় কৃষ্ণকে এরই মধ্যে বহিষ্কার করেছে ইসকন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বলেন, সকালে চিন্ময়কে আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। তাঁকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হলে তাঁর অনুসারীরা আশপাশে অবস্থান নেন। বারবার অনুরোধ করা হলেও অবস্থানকারীরা সরে যাননি। পরে বিকেলে পুলিশ, বিজিবি ও সোয়াট তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী স্বরূপ কান্তি নাথ বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর মিস মামলা করে আমরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করি। আদালত আবেদনটি বুধবার (আজ) শুনানির জন্য রেখেছেন। চিন্ময়ের অনুসারীরা সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আদালত ভবনের নিচতলায় অবস্থান করছিলেন। বিকেলে পুলিশ, বিজিবি বিনা উস্কানিতে সাধারণ সনাতনীদের ওপর হামলা করে। আদালত ভবনের নিচে এমন হামলা নজিরবিহীন।

সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর ২টার দিকে পুলিশ চিন্ময় অনুসারীদের সরানোর চেষ্টা করলে উত্তেজনা দেখা হয়। তখন আদালতপাড়ার নিচতলায় মালখানার পুরোনো একট মিনি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাস প্রিজনভ্যানের সামনে এনে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। অনেক অবরোধকারীকে তখন মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা যায়। আদালতপাড়ায় উত্তেজনা বেড়ে গেলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের চেম্বার মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া ও চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাজকে ঢুকতে দেখা যায়। তখন মহানগর দায়রা জজ আদালতের বাইরে চিন্ময়ের আইনজীবী মিস মামলা শুনানি করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখনই আদালত ভবনের নিচতলায় অবস্থান নেওয়া কয়েকশ পুলিশ, সোয়াট ও বিজিবি সদস্যরা একযোগে বাঁশি বাজিয়ে প্রথমে সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটান। তার পর অবরোধকারীদের ওপর লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। তিন বাহিনীর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের অ্যাকশনে সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ বলেন, এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা মাঠে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। সনাতনীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে গতকালও শাহবাগে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করে। তবে সকাল থেকেই সেখানে বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারা তাদের শাহবাগে জমায়েত হওয়ার সুযোগ না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। এ ছাড়া ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, মৎস্য ভবন ও টিএসসি এলাকায়ও সকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন ছিল।

চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তি দাবি
চিন্ময় দাসকে এক দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত সনাতনী জোটের নেতারা। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সংবাদ সম্মেলনে জোটের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার বলেন, বুধবারের মধ্যে চিন্ময় দাসকে মুক্তি না দিলে সারাদেশে ‘অহিংস আন্দোলন’ বেগবান করা হবে। শুধু বাংলাদেশে নয়; বিশ্বব্যাপী এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।
একই দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। মিছিল হয়েছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কোটালীপাড়া থানার ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ সময় তিন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। এর আগে দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার সনাতনী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভাঙ্গারহাট বাজারে সমাবেত হয়। এ সময় কোটালীপাড়া থানা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

আইনজীবী হত্যার বিচার দাবি
আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বিক্ষোভ করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাকর্মীরা। সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে মাজারগেট, কদম ফোয়ারা প্রদক্ষিণ করে কাউন্সিলের গেট দিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ থেকে অবিলম্বে আলিফের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
গতকাল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাইফুল ইসলাম আলিফের গায়েবানা জানাজা পড়েন শিক্ষার্থীরা। এতে ইমামতি করেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আহম্মদ উল্লাহ নোমান। এর আগে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার ঢাবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। তারা আলিফের হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানান। বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির বলেন, ‘এ দেশের ইতিহাসে সরকারি আইনজীবী হত্যার নজির নেই। ইসকন সেটিই করেছে। ইসকন নিষিদ্ধ এবং তাদের অর্থায়নের উৎস বের করে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ একই দাবিতে মশাল মিছিল করে ইনকিলাব মঞ্চ। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আর হামলার ঘটনায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যুরো, অফিস ও প্রতিনিধিরা)

Facebook Comments Box

Posted ২:২৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com