
জাতীয় ডেস্ক | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 33 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
দেশে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বড় ধরনের পরিকল্পনা না থাকলে এক দিনে (সোমবার) এতগুলো ঘটনা কাকতালীয় না। সরকার মনে করছে, এখানে নানা পক্ষের পরিকল্পনা আছে। সরকার সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করুক, এটা হয়তো অনেকেই চাইছে না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।
দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এতে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করে সরকার। গত দুই দিনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিশৃঙ্খলা–ভাঙচুরের যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা বড় ধরনের পরিকল্পনার অংশ বলেই ভাবছে সরকার। হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার। এ ধরনের কার্যক্রম সহ্য করা হবে না।
সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সোমবার হামলা ও ভাঙচুর হয়। একপর্যায়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। রোববার পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভুল চিকিৎসার কারণে হয়েছে, এমন অভিযোগের জেরে ওই হামলা চালানো হয়েছিল। এ হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া গতকাল দেখিয়েছে সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কারও ইন্ধন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, অনেক ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে সুষ্ঠু তদন্ত করার আগপর্যন্ত কোনো কিছুই বলা যাবে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশের দুর্বলতা ছিল। দুর্বলতা ছিল দেখেই তো আসলে ঘটনা সংঘর্ষের দিকে গেছে। পুলিশ একটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ভেতরে আছে। সেই জায়গায় যখন এত এত শিক্ষার্থী নেমে এসেছে, পুলিশ যদি শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে যেত, তাহলে সেটি আরও বেশি খারাপ দিকে যেতে পারত। এ কারণ হয়তো পুলিশ প্রাথমিকভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়নি। পরে অবশ্য পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পুলিশকে আরও সক্রিয় করার জন্যই একটি রদবদল করা হয়েছে এবং এই রদবদল অব্যাহত থাকবে। যেখানে ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে পরিবর্তন করা হবে।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আটকের বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানাবে। তবে তাঁরা যেটা জানেন, তাঁকে আটক করা হয়েছে এবং তাঁর নামে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা আছে।
Posted ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter