
জাতীয় ডেস্ক | সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 96 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
দেশের কাঁচাবাজারসহ খোলাবাজারে ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিনের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু সুপারশপ ছাড়া কাঁচাবাজারে এ নির্দেশনা এখনও কার্যকর হয়নি। সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে রাজধানীর কাঁচাবাজার থেকে পাড়া-মহল্লায় অবাধে ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন। অনেক দোকানে বিকল্প ব্যাগ রাখতেও দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে পলিথিনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার সারাদেশে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের ঘোষণা অনুযায়ী এ অভিযান চালানো হয়। এ দিন রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে অভিযান চালিয়ে একটি কারখানার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পলিথিন মজুত ও বাজারজাত করায় পরিচালনা করা হয় ১৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে ২৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জব্দ করা হয় একটি ট্রাক এবং ৭৪৬ কেজি পলিথিন।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বাজারগুলোতে আপাতত জরিমানা করা হচ্ছে না। সতর্কতামূলক অভিযান নভেম্বরের প্রথম এক সপ্তাহ চলবে। এর পরের সপ্তাহ থেকে অভিযানে পলিথিন ব্যাগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সব জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ও সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, দুই মাস আগ থেকে পলিথিন উৎপাদন বন্ধ এবং কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়টি প্রচার করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এখনও যারা বিকল্প রাখেনি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ জরুরি। এর পাশাপাশি সচেতনতা জরুরি। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের এ অভ্যাস খুব সহজেই পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে শুরুটা করতে হবে। এ ছাড়া পলিথিন এখন ব্যবসায়িক খাতে পরিণত হয়েছে। তাই তাদের দিকটাও বিবেচনা করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে।
Posted ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter