বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের সূত্র থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার এই জাহাজ থেকে রূপপুর প্রকল্পের পণ্য বিকল্প উপায়ে দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে পররাষ্ট্র, নৌপরিবহন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয় রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্যবাহী মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রুশ জাহাজের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।(বিষয়টি ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে। অনানুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তারা।)
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এদিন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি মেগা প্রকল্প। এটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। পণ্যবাহী জাহাজটি যে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে, বিষয়টি জানা ছিল না। এখন যেহেতু নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানা হয়েছে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
এদিকে রুশ জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান কোথায়, জানতে চাইলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, উরসা মেজর নামধারী জাহাজটির সিঙ্গাপুরের এজেন্টের সঙ্গে গতকাল যোগাযোগ করা হয়েছে। জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান কোথায়, সেটা শুক্রবার নির্দিষ্ট করে জানানো যাবে বলে এজেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে সমুদ্রগামী জাহাজের অবস্থান পর্যবেক্ষণ ও সামুদ্রিক নিরাপত্তায় যুক্ত বেসরকারি সংস্থা মেরিন ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী বেলা ১১টা ১২ মিনিট পর্যন্ত জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল।
কূটনৈতিক সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজের (স্পার্টা ৩) রং ও নাম বদল করে ‘উরসা মেজর’ নাম দেওয়া হয়। ওই জাহাজে করেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠায় রাশিয়া। জাহাজটি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। (সুত্র-প্রথম আলো)