রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতেও বিক্রি করতে পারবে আদানি

জাতীয় ডেস্ক   |   বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   96 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতেও বিক্রি করতে পারবে আদানি

আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ রপ্তানি নিয়ম সংশোধন করেছে ভারত সরকার। শুধু বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ রপ্তানি বিধি সংশোধন করায় এখন থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ ভারতের কাছেও বিক্রি করতে পারবে আদানি গ্রুপ। দেশটির সরকারের আনা নতুন এই সংশোধনীতে অর্থ পরিশোধে দেরির ক্ষেত্রেও ভারতের সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে। খবর-রয়টার্স

নতুন এই সংশোধনীর বিষয়ে মঙ্গলবার আদানি গ্রুপের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারতে বিদ্যুতের সামগ্রিক প্রাপ্যতা বাড়াতে এবং দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে এই সংশোধনী। কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত।

ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি নথিতে ১২ আগস্ট তারিখ উল্লেখ করা দেখা গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শুধু একটি প্রতিবেশী (বাংলাদেশ) দেশে’ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল তা সংশোধন করা হয়েছে। এখন থেকে আদানির নির্মিত কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতেও সরবরাহ করা যাবে। ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হলে আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে কোম্পানিটি।

ওই নথিতে উল্লেখ আছে, ভারত সরকার পূর্ণ বা আংশিকভাবে দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বিক্রির সুবিধার্থে জাতীয় গ্রিডে আদানিকে সংযোগের অনুমতি দিতে পারে। এ ছাড়া অর্থপ্রদানে বিলম্ব হলেও স্থানীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার সপ্তাহখানেক পর এই পদক্ষেপ নিল ভারত।

এ বিষয়ে ভারতের সরকারের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতের জ্বালানি খাতের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদি একটি প্ল্যান্টের ক্ষমতা থাকে এবং দেশের বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি কেন স্থানীয় গ্রিডে সরবরাহ করা বন্ধ করবেন? ভারতীয় ব্যাংকগুলো এ জন্য অর্থও প্রদান করবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি উৎপাদনে যাওয়ার পর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আদানির চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানি। তখন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

Facebook Comments Box

Posted ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com