জাতীয় ডেস্ক | সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 64 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চায় জাপানের কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতে এ আগ্রহ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা। পরে জাপানের ঢাকা দূতাবাসের মাধ্যমে প্রস্তাব দিতে বলে মন্ত্রণালয়। তবে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম এসেছে তাদের ওয়েবসাইটই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গতকাল রোববার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে জাপানের তিন প্রতিষ্ঠানের ১১ প্রতিনিধির দলটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বৈঠকে প্রবাসীকল্যাণ সচিব রুহুল আমিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে এ দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে কর্মী এবং স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রকৌশলী নিয়োগ করতে চান। প্রতিনিধিরা নিজেদের ইরোগামি মেরিটাইম কোম্পানি লিমিটেড, চুবো এন্টারপ্রাইজ কো-অপারেটিভ এবং হিকারি রিমাক ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেন।
জাপানের সরকারি প্রতিষ্ঠান আইএম জাপান টেকনিক্যাল ইন্টার্ন কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করে। সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএমইটির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো হয় দেশটিতে। ৩০ বছরের কম বয়সী এসএসসি পাস কর্মীরা আবেদন করতে পারেন। জাপানি ভাষা এবং কাজের দক্ষতার পরীক্ষায় পাস করতে হয় তাদের। অভিবাসন নীতি কঠোর হওয়ায় জাপানে বেসরকারি পর্যায়ে কর্মী পাঠানোর সুযোগ নেই।
তবে হিকারি রিমাক ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ অংশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিব রুশদি বলেন, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় জাপানে প্রচুর কর্মী প্রয়োজন। চুবো এন্টারপ্রাইজ দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী সরবরাহ করে। বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে অভিবাসন নীতি শিথিলে জাপান সরকারের কাছে আবেদন জানাবে।
নীতি শিথিলের আগেই কেন জাপানি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এসেছেন– প্রশ্নে সাকিব বলেন, তারা বাংলাদেশের শ্রমশক্তি সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন। ওয়েবসাইট খুঁজে না পাওয়ার বিষয়ে বলেন, জাপানি ভাষায় ওয়েবসাইট হওয়ায় গুগলে পাওয়া যায় না।
অতীতে বিভিন্ন দেশে কর্মী নিয়োগের কথা বলে প্রতারণার নজির রয়েছে। বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো দক্ষ, পেশাদার, কারিগরি ও নির্মাণ শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করতে বলা হয়েছে। জাপানের নিয়োগকারীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে তারা যোগ্য কর্মী বাছাই করতে সক্ষম হন।
নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেছেন, তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে। দোষীরা শাস্তি পাবে। ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter