রবিবার ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তীব্র তাপপ্রবাহ ভারতকে বাস ‘অযোগ্য’ করে তুলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক   |   শনিবার, ০১ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   79 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

তীব্র তাপপ্রবাহ ভারতকে বাস ‘অযোগ্য’ করে তুলছে

চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে রেকর্ড তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত ভারত। কোনো কোনো এলাকায় তা পৌঁছায় ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গরমজনিত স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষের। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি খামারের উৎপাদন, অবকাঠামো নির্মাণ এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাড়ছে চাপ। অন্যদিকে দেশটির খেটে খাওয়া মানুষের ওপর পড়েছে বড় ধরনের বিরূপ প্রভাব। এসব বিবেচনায় ব্লুমবার্গের এক মতামতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ভারত ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে।

তাপদাহ দেশটির নাগরিকদের জন্য দৈনন্দিন জীবনযাপনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এ রকম দুঃসহ পরিস্থিতি শুধু যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সতর্কতা সংকেত তা নয়; বরং এটি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা।

চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ভারতের অনেক অঞ্চল রেকর্ড উচ্চ তাপমাত্রার সম্মুখীন হয়েছে। এই লাগামহীন তাপ দেশের বিভিন্ন অংশকে প্রায় বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে। ব্লুমবার্গে ডেভিড ফিকলিং তাঁর মতামতে বলেছেন, ‘ভারতের জ্বলন্ত তাপ দেশটিকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে।’

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দিল্লির কিছু অংশে এবার রেকর্ড করা হয় সর্বোচ্চ ৪৯.৯ ডিগ্রি এবং হরিয়ানার রোহতকে ৪৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি অঞ্চল নতুন উচ্চতার তাপমাত্রা স্পর্শ করেছে। এতে বেড়ে গেছে বিদ্যুতের চাহিদা। চলতি মৌসুমে এটি ২৬০ গিগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।

পূর্বাঞ্চল, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরাঞ্চলে গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে হিট স্ট্রোকে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এমন তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। হিট স্ট্রোকের কারণে অসুস্থ হয়ে প্রায় ২০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

রেকর্ড উচ্চ তাপমাত্রার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, মে ও জুন মাসে তাপমাত্রার স্বাভাবিক বৃদ্ধি সাধারণত পর্যায়ক্রমিক পশ্চিমি বায়ুমণ্ডলীয় বেঘাত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই আবহাওয়া ব্যবস্থা ভূমধ্যসাগর থেকে আর্দ্রতাসহ বাতাস নিয়ে আসে; যা পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে গরম, শুষ্ক বাতাসকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। তবে চলতি বছর মার্চ ও মে মাসের মধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পশ্চিমি বায়ুমণ্ডলীয় বেঘাত ছিল। কিন্তু গত ১০-১৫ দিন এটির শক্তি হ্রাস পাওয়ায় গরম বাতাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এতে বেড়ে যায় তাপমাত্রা।

Facebook Comments Box

Posted ২:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০১ জুন ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com