আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 56 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর ভোটার টানতে প্রচার বাড়িয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশাল ছবিসংবলিত বিলবোর্ড ও পোস্টার সাঁটাচ্ছেন। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যানার-ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছে রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর ছবি। টানানো হচ্ছে দলীয় পতাকা। তবে মোদি গণতন্ত্রকে কোণঠাসা করে ফেললেও হিন্দুত্ববাদী জনগোষ্ঠীর সমর্থনে আবারও বড় জয় নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে একনায়কত্ব থেকে বাঁচানোর শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছে কংগ্রেস। খবর দ্য স্টেটম্যান ও এনডিটিভির।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তপশিল ঘোষণার পরদিন রোববার বলেছেন, এই নির্বাচন দেশটির জন্য ন্যায়ের দ্বার উন্মোচন করবে। এটিই গণতন্ত্র ও সংবিধানকে একনায়কত্ব থেকে বাঁচানোর সম্ভবত শেষ সুযোগ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের জনগণ একসঙ্গে ঘৃণা, লুটপাট, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং নৃশংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করব। হাত বদলেগা হালাত, অর্থাৎ হাত বদলে দেবে পরিস্থিতি।’
অন্যদিকে কংগ্রেস সংসদ সদস্য শশী থারুর বলেছেন, আপনি আপনার সন্তানদের জন্য কেমন ভারত রেখে যেতে চান? আপনি কেমন ভারতে বাস করতে চান? বিজেপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাদের দৃষ্টি থাকবে এক ভাষা, এক জাতি, এক ধর্ম, এক নেতা, এক দল এবং এক নির্বাচন। এটি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। আর কংগ্রেস চায় বৈচিত্র্য এবং বহুত্ববাদ।
অন্যদিকে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব। তাঁর প্রত্যাশা, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করবে বিজেপি।
এদিকে আবারও জয়ে আত্মপ্রত্যয়ী মোদি এরই মধ্যে তাঁর মন্ত্রীদের নতুন সরকারের জন্য প্রথম ১০০ দিন এবং পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, রোববার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রীদের নিজ নিজ বিভাগের সচিব এবং অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মোদি ইতোমধ্যেই তৃতীয় মেয়াদের জন্য একাধিক লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে– ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করা, উৎপাদন খাতকে বড় করা, সরবরাহ শৃঙ্খলে নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি।
এদিকে শনিবার সাত ধাপে নির্বাচন করার তপশিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনের নিন্দা করেছে কংগ্রেস, আম আদমি পার্ট, শিবসেনা, টিএমসিসহ বিরোধী নেতারা। তারা বলেছেন, এর ফলে প্রায় ৭০-৮০ দিন সব ধরনের উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকবে। এতে দেশের ক্ষতি হবে। তিন অথবা চার ধাপে ভোট সম্পন্ন করার পরামর্শ খাড়গের।
সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ বইলেও মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে এবারও হচ্ছে না বিধানসভা নির্বাচন। বিশেষ অঞ্চলের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া রাজ্যটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। কিন্তু গত প্রায় ছয় বছর ধরে সেখানে নেই কোনো নির্বাচিত সরকার।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সিইসি রাজীব কুমার সেখানে নির্বাচনের তপশিল দেননি। তবে লোকসভা নির্বাচনের পর পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পাওয়া যাবে উল্লেখ করে দ্রততম সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
দেশটিতে ভোট শুরু হবে আগামী ১৯ এপ্রিল, শেষ হবে ১ জুন। ফলাফল প্রকাশ হবে ৪ জুন।
Posted ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter