রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” উদ্‌যাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   106 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” উদ্‌যাপন

আজ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে, ইউনেস্কো’র ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ-এর রুহের মাগফিরাত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটির ভিডিও প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানটিতে।

অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনধি ও চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তৌফিক ইসলাম শাতিল। বক্তব্যের শুরুতে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এর পর তিনি বাংলাদেশের মুক্ত সংগ্রামে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভূমিকা ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন ৭ই মার্চের ভাষণেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণকে চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুতির আহ্বান জানান এবং ভাষণের মধ্যেই মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা অন্তর্নিহিত ছিল। ইউনেস্কো কর্তৃক ভাষণটিকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ এর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ, এবং এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিই প্রমাণ করে এটি শুধু বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকেই উজ্জীবিত করেনি, বরং পৃথিবীর সকল মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস বলে উপ-স্থায়ী প্রতিনধি ও চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উল্লেখ করেন। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ ৭ই মার্চের ভাষণের মর্মবাণী ধারণ করে কর্মে ও চিন্তায় এর প্রয়োগের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন: ২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করে।

Facebook Comments Box

Posted ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com