আন্তর্জাতিক ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট | 24 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
প্রায় ১১ বছর ধরে বন্ধ্যত্ব সমস্যার চিকিৎসা নেওয়ার পর মা হয়েছিলেন গাজার রানিয়া আবুয়ানজা। নিজের সবটা দিয়ে ভালোবেসে বড় করে তুলছিলেন যমজ ছেলে ও মেয়েকে। কিন্তু হামাস-ইসরায়েল সংঘাত তার জীবনে নিয়ে এসেছে ঘোর অন্ধকার। ইসরায়েলের এক বোমা হামলা কেড়ে নিয়েছে তার কলিজার টুকরা দুই ছেলে-মেয়ে, স্বামীসহ পরিবারের ১১ সদস্যকে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে পরিবারের আরও ৯ জন।
শনিবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠেন রানিয়া আবুয়ানজা। তখন তার পাঁচ মাস বয়সী ছেলে নাঈমকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিলেন আর তার মেয়ে উইসামকে আরেক বাহুতে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। পাশেই ঘুমাচ্ছিলেন তার স্বামী। পরে দুই বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে নিজেও ঘুমাতে যান। এর ঠিক আধা ঘণ্টা পরেই হঠাৎ ইসরায়েলের এক গোলায় তার পুরো বাড়ি ধসে পড়ে। চোখের পলকে প্রাণপ্রিয় দুই ছেলে-মেয়ে আর স্বামীকে মারা যেতে দেখেন।
গাজা যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর জন্ম নেওয়া উইসাম ও নাঈমকে রোববার দাফন করা হয়।
এই দুই শিশুর মা ‘রানিয়া আবুয়ানজা’ বলেছেন, ‘মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য বন্ধ্যত্ব সমস্যা ঘুচানোর জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।’
Posted ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter