আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 50 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
দক্ষিণ গাজার রাফায় সোমবার সূর্যোদয়ের আগে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার আতঙ্কে এখনও দিন কাটছে সেখানকার মানুষের। রাফায় বসবাসরত ফিলিস্তিনি চিকিৎসক আহমেদ আবুইবাইদ বলেন, ইসরায়েলি হামলার শঙ্কায় তারা আতঙ্কিত। আগের রাতে বিমান হামলার পর তাঁর কাছে মনে হচ্ছে, এই শহরে আশ্রয় নেওয়ার পর এটি ছিল তাঁর জন্য সবচেয়ে দুঃস্বপ্নের একটি রাত। এ হামলাকে সর্বাত্মক ও অনবরত হামলা বলে বর্ণনা দিচ্ছিলেন। এখানকার মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন– আমরা এখন কোথায় যাব বলেন তিনি।
গাজার জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ২৩ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন মিসরের সীমান্তবর্তী এ শহরে। ঘরহারা অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বা বিভিন্ন তাঁবুতে বসবাস করছেন। এসব জায়গায় নিরাপদ পানি ও খাবারের অভাবও রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাফায় হামলা চালালে তা হবে ভয়ংকর, যাতে অনেক বেসামরিক লোক, নারী ও শিশু হতাহতের শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ফিলিস্তিনের গাজায় ‘অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের’ নিহত হওয়ার পটভূমিতে ইউরোপের ২৭ দেশের জোটের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এ আহ্বান জানান।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর অভিযান ‘অতি মাত্রায়’ গিয়ে ঠেকেছে বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর এ মন্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বোরেল সোমবার বলেন, আপনি যদি মনেই করেন অনেক সংখ্যক মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, তবে এত মানুষের হত্যা ঠেকাতে আপনার কম অস্ত্র সরবরাহ করা উচিত।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রাফায় যত দ্রুত সম্ভব সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাফায় গুরুতর মানবিক বিপর্যয়ের সতর্কবার্তাও দিয়েছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, রাফার বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করে ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এমন কর্মের বিরোধিতা ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
Posted ১২:৫৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter