জাতীয় ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 72 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে না রাশিয়া। পশ্চিমা দেশ কী করছে বা কী করতে পারে, তা তুলে ধরছে মস্কো।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।
বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো বিপ্লব বা অভ্যুত্থান হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার সম্প্রতি দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌ বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে মাইন অপারেশনে সহায়তা করেছিলেন। সেটা তুলে ধরতেই আমরা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছি।
মান্টিটস্কি বলেন, আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই— বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে নামেনি রাশিয়া। তবে তারা(পশ্চিমারা) কী করেছে, আর কী করতে পারে; সেটা আমরা (রাশিয়া) তুলে ধরেছি।
গত ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ভোটের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক মনে না হলে ‘আরব বসন্তের’ মতো করে বাংলাদেশকে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হতে পারে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের সরাসরি সম্পর্কের কথা বলেন রুশ মুখপাত্র।
বাংলাদেশ বিষয়ে রুশ মুখপাত্রের বিবৃতির দুই দিন পর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে মোমেন বাংলাদেশে আরব বসন্তের সম্ভবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া কী বলেছে, এটা আমাদের ইস্যু নয়। অনেকে অনেক ধরনের কথা বলবে, আমরা এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আমার তো মনে হয় না বাংলাদেশে আরব বসন্তের কোনো সম্ভবনা আছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে মাইন অপারেশনে সহায়তা করেছিল রাশিয়ার নৌ বাহিনী। সেসময় মাইন অপারেশনে সহায়তাকারী রাশিয়ার নৌ বাহিনীর সাবেক দুই সদস্য বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে এসেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।
রাশিয়ার নৌ বাহিনীর সাবেক দুই সদস্য ভিটালি গুবেনকো চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে মাইন অপারেশনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মাইন অপসারণের জন্য ১৯৭২ সালে আমি চট্টগ্রাম আসি। সে সময় কাজটি খুব কঠিন ছিল। দুই বছর অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাইন অপসারণ করা হয়। পরে বন্দর দিয়ে জাহাজ চলাচলও শুরু হয়। তখন স্থানীয় জনগণ খুব সহযোগিতা করেছিল।
বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন গুবেনকো। তিনি বলেন, ৫০ বছর পর বাংলাদেশে এসে নতুন এক বাংলাদেশ দেখছি। এখানে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এটা দেখে খুব আনন্দ হচ্ছে।
Posted ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
nykagoj.com | Stuff Reporter