রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিম্মিদের মুক্তিতে যে প্রস্তাব দিলো হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক   |   মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   67 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

জিম্মিদের মুক্তিতে যে প্রস্তাব দিলো হামাস

ইসরায়েলি বাহিনী যদি তাদের অভিযানে ৫ দিন বিরতি দিতে রাজি হয়, তাহলে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৭০ জনকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা এই তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক অডিও বার্তায় উবেইদা বলেন, ‘কাতারি ভাইদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে যদি শত্রুরা ৫ দিনের যুদ্ধবিরতি দেয়— সেক্ষেত্রে ৭০ জন ইসরায়েলিকে আমরা মুক্তি দেবো।’

‘বিরতি বলতে আমরা সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি বুঝিয়েছি; আর এই বিরতির সময় অবশ্যই গাজা উপত্যকার সব এলাকায় ত্রাণ মানবিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।’

বস্তুত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কিংবা মানবিক বিরতি আহ্বানের বিষয়টি গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আলোচনায় ‍ছিল। ইসরায়েরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজা উপত্যকায় কোনো মানবিক বিরতি ঘোষণা করবে না প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। অন্যদিকে হামাস বলে আসছিল, বিরতি ঘোষণা না করা হলে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এদিন ভোরের দিকে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা।

এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। উপত্যকার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং, যা গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের কাছে ‘লাইফলাইন’ নামে পরিচিত।

গত ৩৭ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণে কার্যত ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে মাত্র ৩৬৫ কিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজা। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১১ হাজার।

যুদ্ধের শুরু থেকেই মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করছে কাতার। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারাও কাতারে বসবাস করেন।

গত অক্টোবরের শেষ দিকে ৭-৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এক্ষেত্রেও কাতারের প্রভাব ছিল।

Facebook Comments Box

Posted ৪:০৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com