রবিবার ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরণার্থী শিবিরে হামলায় পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারালেন আল জাজিরার প্রকৌশলী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক   |   বুধবার, ০১ নভেম্বর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   140 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

শরণার্থী শিবিরে হামলায় পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারালেন আল জাজিরার প্রকৌশলী

বিমান থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন গাজায় আল জাজিরার ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান। ২৫ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আল জাজিরার আরবি বিভাগের সাংবাদিক ওয়ায়েল আল-দাহদু পরিবারের ১২ সদস্য নিহতের পরের সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটল। খবর-আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থীশিবির জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্পে মঙ্গলবার ইসরায়েল বাহিনী বিমান থেকে বোমা হামলা চালায়। এতে বাবা ও দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন আবু আল-কুমসান।

মঙ্গলবার এ হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে আল জাজিরা। এতে এই বোমা হামলাকে ক্ষমার অযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, শরণার্থী শিবিরে হামলায় আবু আল-কুমসানের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে ও ভাগ্নি, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, তাদের চার সন্তান, ভগ্নিপতি ও চাচা নিহত হয়েছেন।

এদিকে যুদ্ধ বিমান থেকে জাবালিয়া এলাকায় হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (ইডিএফ) দাবি করেছে, এই হামলায় একজন শীর্ষ হামাস কমান্ডার নিহত হয়েছে। এছাড়া হামাসের মাটির নিচে থাকা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হামলা চালানোর কথা স্বীকার: এদিকে যুদ্ধ বিমান থেকে জাবালিয়া এলাকায় হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (ইডিএফ) দাবি করেছে, এই হামলায় একজন শীর্ষ হামাস কমান্ডার নিহত হয়েছে। এছাড়া হামাসের মাটির নিচে থাকা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জাবালিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলার যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে অনেক নিহত এবং গুরুতর আহত শিশুদের দেখা যাচ্ছে। এ হামলায় কত জন নিহত হয়েছে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।

গাজায় থাকা হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। আর ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বলছে, নিহতের সংখ্যা ২৫। গাজায় থাকা একটি হাসপাতালের চিকিৎসক বিবিসিকে জানিয়েছে, তার হাসপাতালে ১২০টি মরদেহ আনা হয়েছে।

জেরুসালেম থেকে বিবিসির প্রতিনিধি পল অ্যাডামস বলেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস জাবালিয়ায় হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, এই হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারি।

কনরিকাস বলেন, গত ৭ অক্টোবরের হামলার মূল পরিকল্পনা এবং সেটি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন ইব্রাহিম বিয়ারি। এই হামলায় ‘মাটির নিচে থাকা একটি সুড়ঙ্গ কমপ্লেক্সে’ হামাসের ‘কয়েক ডজন’ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এই কমপ্লেক্স থেকেই বিয়ারি অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিতেন বলে দাবি করে ইসরায়েল। তিনি বলেন, আইডিএফ দুই ভবনের মাঝে আঘাত করে এবং তারা মাটির নিচে থাকা সুড়ঙ্গ কমপ্লেক্সকে লক্ষ্য করে এই হামলা করে। সুড়ঙ্গটি ধসে পড়ার কারণে আশেপাশের ভবনগুলোও ধসে পড়ে। এই হামলায় একাধিক বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

আইডিএফ এ ঘটনায় বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে। কনরিকাস বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চল হামাসের কেন্দ্রীয় ভূমি।

Facebook Comments Box

Posted ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০১ নভেম্বর ২০২৩

nykagoj.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
সম্পাদক
আফরোজা ইসলাম
কন্ট্রিবিঊটিং এডিটর
মনোয়ারুল ইসলাম
Contact

+1 845-392-8419

E-mail: nykagoj@gmail.com